Monday, April 3, 2017

না জানলে ক্ষতি . . . . . .


১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে, এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয় যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে রাখাই ভালো।

২. চা পানের পর পর পানি পান করা উচিত নয়। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়।

৩. দরজার পাশে দাড়িয়ে কান খুচাবেননা। অপরপাশ থেকে যেকারো ধাক্কা লেগে বিপদ হতে পারে৷

৪. এক টুথব্রাশ তিনমাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷ তাই প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলান।

৫. খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়৷ এটি গ্যাসের জন্য ক্ষতিকর৷

৬. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেননা। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর৷

থানকুনি পাতার গুনাগুন



জ্বর : থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।

পেটের পীড়া : অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।

গ্যাস্ট্রিক : আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি : বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

রক্ত দূষণ রোধে থানকুনি : প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়।

বাক স্ফুরনেঃ যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ধান কুনি পাতার রস গরম করে ঠান্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে অসুবিধাটা সেরে যায়।

খুসখুসে কাশিতে : ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।

আমাশয় : প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।

পেট ব্যথা : থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা ভাল হয়।

লিভারের সমস্যা : প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।

লাবণ্যতা : যদি মুখ মলিন হয়, লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।

দূষিত ক্ষত : মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুতে হবে।

মুখে ঘা : থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গারগিল করতে হবে।

আঘাত : কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

সাধারণ ক্ষত : থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।

চুল পড়া : অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

পেটের দোষ : মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

স্মরণশক্তি : মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

নাক বন্ধ : ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।

গুণে ভরপুর তেতো করল্লা।



করল্লা নামটা শুনলেই অনেকের চোখেমুখে বিরক্তির ছায়া ফুটে ওঠে। তেতো এই সবজিটিকে খুব সাবধানে এড়িয়ে চলেন অনেকে। ভুলেও মুখে তোলেন না করল্লার তরকারি। কিন্তু তারা কি জানেন এই করল্লার অসাধারণ সব স্বাস্থ্যগুণ? চলুন দেখে নিই অবহেলার এই সবজিটি আসলে আমাদের জন্য কতো উপকারী।

১) ফুসফুসের সমস্যা সমাধান
অ্যাজমা এবং সাধারণ সর্দিকাশির সমস্যা দূর করতে করল্লা সহায়ক। শুধু তাই নয়, করল্লার পাতা এবং তুলসি পাতার পেস্ট সকালে মধুর সাথে খেলে তা এসব সমস্যা কমিয়ে আনে।

২) লিভার সুস্থ রাখে
প্রতিদিন এক গ্লাস করল্লার জুস লিভারের সমস্যা দূর করে। টানা এক সপ্তাহ পান করলে সুফল পাবেন।

৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে করল্লা। করল্লা বা করল্লার পাতা সেদ্ধ করা পানি পান করুন প্রতিদিন। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী।

৪) ব্রণের সমস্যা দূর
ব্রণ, ত্বকের দাগ এবং ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে কাজে আসতে পারে করল্লা। স্ক্যাবিস, রিংওয়ার্ম এবং সোরিয়াসিসের সমস্যাতেও এটি কার্যকর।

৫) ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের জন্য করল্লা বেশ উপকারী। ইনসুলিনের মতো একটি উপাদান থাকার কারণে ব্লাড সুগার কমিয়ে আনতে সক্ষম করল্লা। আপনি যদি সুগার নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ওষুধ খান তাহলে করল্লা খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, নয়তো সুগার বেশি কমে যেতে পারে।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য
করল্লায় অনেকটা ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

৭) কিডনি এবং ব্লাডার সুস্থ রাখে
কিডনি ও ব্লাডারের সার্বিক সুস্থতার জন্য খেতে পারেন করল্লা। এছাড়া কিডনি স্টোন সমস্যাতেও কাজে আসতে পারে করল্লা।

৮) হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
বেশ কিছু দিক দিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে করল্লা। খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় করল্লা। এছাড়াও ব্লাড সুগার লেভেল কমায় বলে এর কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৯) ক্যান্সারের চিকিৎসা
ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে সাহায্য করতে পারে করল্লা। মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে করল্লার নির্যাস কাজে আসে বলে জানা গেছে গবেষণায়। এছাড়া অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের মেটাবলিজমে বাধা দেয় করল্লা।

১০) ওজন নিয়ন্ত্রণ
করল্লায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীর থেকে টক্সিক দূর করে। এটা মেটাবলিজম এবং হজমে সহায়ক, ফলে দ্রুত ওজন কমে। ১০০ গ্রাম করল্লায় মাত্র ১৭ ক্যালোরি থাকে এবং ফাইবার থাকে অনেক বেশি ফলে তা পেট ভরা রাখে।

করল্লা যদি বেশি তেতো মনে হয়, তাহলে দুইটি উপায়ে তেতো ভাব কমাতে পারেন। করল্লা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন কমপক্ষে ১০ মিনিট। এরপর ধুয়ে রান্না করুন। অথবা অল্প লবণ দেওয়া পানিতে দুই মিনিট সেদ্ধ করে নিলেও এর তেতো ভাবটা কিছুটা কমে আসবে।
বিভিন্ন ধরণের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড, ফলেট, ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি আছে এতে।আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অসুখ উপশম করতেও এটি উপকারী। এবার ভেবে দেখুন, এসব জানার পরেও কি আপনি করল্লাকে এড়িয়ে যাবেন?

চুলের যত্ন


-- নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপসগুলো পেতে শেয়ার করুন ----
শীতের এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মাথায় খুশকি বেশি হয়। মাথার তালুতে ফাংগাল ইনফেকশন, অপরিষ্কার থাকা, তৈলাক্ত তালুতে ধুলোবালি জমে যাওয়ার কারণে খুশকি হয়। খুশকি শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের হয়। খুশকির সমস্যাটি অস্বস্তিকর হলেও সচেতন হলে খুশকিমুক্ত থাকা সম্ভব।
খুশকি দূর করতে অর্ধেক পাকা কলা চটকে নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মেশান। এটি চুলের গোড়া ও মাথার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল ১ কাপ, ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
শুকনো সমপরিমাণ মেথি ও আমলকি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পেস্ট করে মাথার ত্বকে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৪-৫টি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলো ৪-৫ কাপ পানিতে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পেস্ট করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করতে বিশেষ সাহায্য করবে।
সব সময় পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করুন। অন্যের চিরুনি কখনোই ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু পরিমাণে কম ব্যবহার করে, বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার নিয়ে মাথার স্কাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। মাথার স্কাল্পে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
খুশকি দূর করতে শসার রস এবং আদার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে মাথায় মাখুন। মাথায় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। চুল ভেজা অবস্থায় বাইরে বেরোবেন না।

কানে ময়লা? পরিষ্কারের দরকার নেই!


অনেকের মাঝেই কান পরিষ্কারের বাতিক রয়েছে। সেফটিপিন থেকে শুরু করে পাখির পালক, হাতের কাছে যা পান তাই দিয়েই কান খোঁচানো শুরু করে দেন। অনেকে আবার রাস্তার পাশেই অনভিজ্ঞ লোকের কাছে কান পরিষ্কার করার জন্য বসে পড়েন। আর কিছু না পেলে কনিষ্ঠ আঙ্গুল তো আছেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্য কথা। আসলে কান পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজনই নেই।
সম্প্রতি একদল মার্কিন বিজ্ঞানী (American Academy of Otolaryngology) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, যারা যত্ন হচ্ছে মনে করে কানের ভেতর কাঠি কিংবা তুলো গুজে দিচ্ছেন তারাই মারাত্মক ভুল করছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, কানে যেভাবে ময়লা জমে তা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আর সেই প্রক্রিয়াতেই ময়লা কান থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। এজন্য বাড়তি কোনো উদ্যোগের দরকার নেই। বরং কান পরিষ্কার করার সময়ে অসতর্কতাবশত আঘাত লাগতে পারে৷ এমনকি কানের পর্দা ছিড়েও যেতে পারে৷ কানের কোনও অসুখের জন্য যদি কান চুলকান, তবে কটন বাড ব্যবহার করলে সেই অসুখের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্টিস হাসপাতালের ডক্টর মিনা নিহালানি বলছেন, কানের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে বরং এই অঙ্গকে অকেজো করে ফেলার ঝুঁকি থাকে। কানের ভেতরে যে সংবেদনশীল অংশ রয়েছে তা বাইরের জিনিস প্রবেশের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ে। কানের নাজুক পর্দা তো ছিড়ে যেতে পারেই, রোগ সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কারণ ছাড়া কান পরিষ্কারের কোনো দরকার নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমেই কান পরিষ্কার হয়৷ যারা নিয়মিতভাবে কান পরিষ্কার করে থাকেন, তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন।
কর্ণ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সব্যসাচী সাক্সেনা তাই বলছেন, এরপরও যদি মনে হয় কানে সত্যি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তবে একটাই পরামর্শ থাকবে। আর তা হল, ডাক্তারের কাছে যান।

হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?


হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেট ব্যথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব কারণে হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয়-

১. খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।

২. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার ও ফাস্টফুড খাওয়ার কারণেও হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা সহজে হজম হতে চায় না।

৩. চিনিজাতীয় পানীয় খুব বেশি পরিমাণে পান করলে হজমে গ-গোল হয়। অতিরিক্ত কোল্ডড্রিংক পান করাও অনুচিত।

হজমের সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায়-

১. এক টুকরা আদা পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন দিনে দুইবার। দূর হবে হজমের সমস্যা।

২. রাতে ঘুমানোর আগে ইসুবগুলের ভুষি কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে পান করুন। খাবার হজম হবে দ্রুত।

৩. হলুদ পানিতে মিশিয়ে পান করুন দিনে একবার।
৪. প্রতিদিন সকালে ২ চা চামচ অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হজমের সমস্যার সমাধান হবে দ্রুত।

৫. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

৬. নিয়মিত দই খেলে দূরে থাকতে পারবেন অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা থেকে।

৭. প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ওটমিল খান। দূর হবে হজমের গ-গোল।


খালি পেটে আদা কি ক্ষতিকর?


সাধারণত পেটের পীড়ায় আদা অনেক উপকারী। কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে। এছাড়া সাধারণ ঠান্ডা জ্বরের মোকাবিলায় আদা মহৌষধের মতো উপকারী। ঠান্ডার জন্য দায়ী রাইনোভাইরাসকে এটা মেরে দেয়। এছাড়া পেটে গোলমাল বা ব্যথার উপশমেও কাজে দেয় আদা। তবে এটা খালি পেটে ক্ষতিকর হতে পারে।
আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের স্বাস্থ পাতার পরামর্শক ড. ম্যান্নি আদা নিয়ে বলেন, ‘আদা আমাদের পাকস্থলীতে পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় যা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু খালি পেটে আদা খেলে এটা গ্যাস্ট্রিক বা হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’
তাই খালি পেটে আদা খাওয়া থেকে সাবধান! তবে খাওয়া দাওয়ার পর বা হালকা নাস্তার পর আদার জুস বা আদা চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।