Wednesday, March 22, 2017

শশার উপকারীতা

http://bdwedding.blogspot.com/

 পানিশূন্যতা দূর করে। সারাদিন কাজের ব্যস্ততা থাকার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না অনেকেরই। এই পানি ঘাটতি দূর করতে শশার তুলনা হয় না। শশায় ৯০ ভাগ পানি থাকায় শরীরের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত শশা খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী শশা। শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীর ভালো রাখে, সেইসঙ্গে কিডনি থাকে সুস্থ। শশা শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’র চাহিদা পূরণ করে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। শশার সবচেয়ে ভালো পুষ্টি পেতে হলে সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া ভালো। ত্বকের বন্ধু শশায় উচ্চমানের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকন রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শশা নখ ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। হজমে সহায়তা করে ও ওজন কমায় শশাতে রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমান ক্যালরি। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শশা আদর্শ খাবার। শশা খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। প্রতিদিন শশা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। চোখ ভালো রাখবে শশা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখলে চোখের কান্তি দূর হয়, এবং চোখের জ্বালাপোড়া দূর করে চোখ ভালো রাখে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে শশা মুখের জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে । শশায় বিদ্যমান ফাইটোক্যামিকেলস মুখের ভেতরের জীবানুকে ধ্বংস করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। মাথাব্যথা দূর করে যাদের সকাল বেলা মাথাব্যথা হয় তারা যদি সকালে উঠেই কয়েক টুকরা শশা খান তাহলে আর মাথা ব্যাথা করবে না।। 

বাড়তি লবণ নিষেধ কেন?

http://bdwedding.blogspot.com/

আমরা প্রায়ই রোগীদের বলে থাকি বাড়তি লবণ খাবেন না। কথাটার অর্থ আসলে কী? কোনো বাড়ির রান্নায় লবণ বেশি দেওয়া হয়, কোনো বাড়িতে কম। রান্নায় তবে কত চামচ লবণ ব্যবহার করা উচিত? আসুন জেনে নিই লবণ সম্পর্কে।

* লবণ আর সোডিয়াম এক কথা নয়। রান্নায় ব্যবহৃত লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। লবণের ৪০ শতাংশ জুড়ে থাকে সোডিয়াম। তাই এক চামচ লবণ মানেই কিন্তু এক চামচ সোডিয়াম নয়। আমাদের কম খেতে হবে সোডিয়াম। বিশেষ করে, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, কিডনি ও যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি আছে।

* বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ গ্রুপ যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে দৈনিক ১৫০০ থেকে ২৩০০ মিলিগ্রাম লবণ খাওয়া যাবে। মানে ১৫০০ মিলিগ্রামের কম হলে তো খুবই ভালো, তবে ২৩০০ মিলিগ্রামের ওপরে কখনোই নয়। তো ১৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম আছে ৩ দশমিক ৭৫ গ্রাম পরিমাণ লবণে, মানে পৌনে এক চামচ লবণে। ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে হলে ৬ গ্রাম পরিমাণ লবণ খেতে হবে, অর্থাৎ এক চামচ। তার মানে দাঁড়াল, সারা দিনে এক চামচ পরিমাণের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না।

* গড়পড়তা আমরা নাকি দৈনিক ৩০০০ থেকে ৩৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেয়ে ফেলি। এর একটা বড় অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে। কেননা খাবার সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এতে প্রচুর লবণ যোগ করা হয়। এ ছাড়া লবণ মূলত যোগ করা হয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে। আর কেউ কেউ তো পাতে এরপরও আলাদা লবণ নিয়ে খান।

* বেকিং সোডা ব্যবহৃত হয় এমন খাবার (যেমন পাউরুটি বা ব্রেড, বেকারির বিভিন্ন খাবার), বিস্কুট, প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন সসেজ, নাগেট), যেকোনো টিনের বা সংরক্ষিত খাবার (যেমন আচার, পনির), সস বা সয়াসসে ভেজানো খাবার যা পরে পরিবেশন করা হয় (যেমন চিকেন ফ্রাই ও অন্যান্য ফাস্টফুড), ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও পাস্তা, লবণ মাখানো চানাচুর, বাদাম ইত্যাদি বাড়তি লবণের বড় উৎস। দেখা যায়, আমরা রান্নায় লবণ কমিয়েছি ঠিকই, কিন্তু কেনা খাবারে অনেক লবণ রয়ে গেছে, সেটা খেয়াল করছি না।

* কখনো আমরা নিজের অজান্তেই খাবারে লবণ যোগ করে ফেলি অভ্যাসবশত। যেমন সালাদ তৈরির সময় বা কাঁচা ফল খাওয়ার সময়। ওটা হিসাবের মধ্যেই ধরি না।
আসলে এতখানি মেপে তো আর প্রতিদিন রান্না করা যাবে না। তাই চিকিৎসক যদি লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তবে তিনটি কাজ করবেন: এক. আলগা লবণ একেবারেই খাবেন না, দুই. রান্নায় আগের চেয়ে একটু কম লবণ দিন আর তিন. ওপরে উল্লেখিত অতি লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

সকালের ৪ টি ভুলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে দেহের

http://bdwedding.blogspot.com/

সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা অভ্যাসবশত কিছু না কিছু কাজ করে থাকি । এ কাজ গুলো আমাদের শরীরের জন্য ভাল না খারাপ আসুন জেনে নিই। দিনের শুরুটিই যদি ভালো না কাটে তাহলে পুরো দিনটি যে খারাপ কাটবে তা বলে দিতে হয় না। আর যদি সকালের কিছু কাজে শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে থাকেতাহলে সেটিও বেশ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সকালবেলা আমাদের কি করা উচিত এবং উচিত নয় তা জেনে নিতে হবে সকলকেই। সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র এখানেই।

১। ঘুম থেকে উঠে বিছানায় অনেকটা সময় বসে থাকা
অনেকে ঘুম ভেঙে তো উঠে পড়েন ঠিকই কিন্তু আলসেমি করে অনেকটা সময় বিছানাতেই পার করে দিয়ে থাকেন। এতে করে আপনার দেহ ভুল সিগন্যাল পেয়ে যায়। অর্থাৎ আপনার নার্ভ সিস্টেম কখন কি করা উচিত তা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তাই ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে না থেকে ১ মিনিট থেকে আলতো করে আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ুন।

২। বিছানায় বসে চা/কফি পান করে নেয়া
অনেকেই বেড টি নিয়ে থাকে, আবার অনেকে বিছানায় বসেই কফি পান করে থাকেন ঘুম তাড়ানোর আশায়। কিন্তু এতে করে ক্ষতি হচ্ছে আপনার হজম শক্তির। সকালে উঠেই অ্যাসিডিক পানীয় পান না করে হালকা কিছু পান করুন। পানি পান করুন। সকালের নাস্তা শেষে তবেই চা/কফি পান করুন।

৩। ঘুম ভাঙার পরপরই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া
অনেকেরই অভ্যাস সকালে ঘুম ভেঙে উঠে না বসেই নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া। ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ঘুরে তবেই অনেকে ক্ষান্ত হন। কিন্তু সকালে উঠেই ফোন ব্যবহারের ফলে এবং নানা সাইট ঘুরে দেখার ফলে আপনার মস্তিস্কের উপর হুট করে চাপ পড়ে যার কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যায় সকাল থেকেই। এতে ক্ষতি হয় দেহের ও মনের।

৪। অল্প নাস্তা বা নাস্তা না করে দিন শুরু করা
আলসেমি এবং ইচ্ছে দুটোকে প্রাধান্য নিয়ে অনেকে সকালে নাস্তা না করেই দিন শুরু করে থাকেন। এতে করে ক্ষতি হয় মস্তিষ্ক এবং শরীরের। সারারাত পর মস্তিষ্ক এবং দেহের সব চাইতে বেশি খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে সকালে। এই সময়েই যদি দেহে খাদ্য সরবরাহ না হয় তাহলে তার খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে শরীর ও মস্তিস্কের উপর।

স্বাস্থ্যকর মস্তিস্কের জন্য স্মার্ট খাবার

http://bdwedding.blogspot.com/

আমাদের বয়স ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমতে থাকে। কিন্তু গবেষণায় জানানো হয়েছে যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি আপনার মস্তিস্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারেন যদি কিছু ‘স্মার্ট ফুড’ আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকে। চলুন তাহলে জেনে নিই স্বাস্থ্যকর মস্তিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় স্মার্ট খাবারগুলোর বিষয়ে।

১। বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ ভিটামিন ই এর ভালো উৎস। আমেরিকার সান্ডিয়াগোর লা জোলার স্ক্রিপ্স মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্টাফ প্রেট বলেন, উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই গ্রহণ মস্তিষ্কের দক্ষতা হ্রাস পাওয়া কমায়। দিনে ১ আউন্স বাদাম যেমন- আখরোট, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম এবং বীজ যেমন- মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখির বীজ, তিল বীজ খেতে পারেন।এছাড়াও আনহাইড্রোজেনেটেড বাটার যেমন- পিনাট বাটার, আমন্ড বাটার ইত্যাদি খেতে পারেন।

২। অ্যাভোকাডো
‘ডা. অ্যান টেন স্টেপ ডায়েট: এ সিম্পল প্ল্যান ফর পার্মানেন্ট অয়েট লুজ এন্ড অ্যাম্প: লাইফ লং ভাইটালিটি’ এর লেখক অ্যান কালজ বলেন, মস্তিস্কের উন্নতিতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। অ্যাভোকাডো একটি ফ্যাটি ফল, কিন্তু এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহে অবদান রাখে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহ মানেই স্বাস্থ্যকর মস্তিস্ক’। এছাড়াও অ্যাভোকাডো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যদিও অ্যাভোকাডো উচ্চমাত্রার ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই কালজ প্রতিদিন একটি অ্যাভোকাডোর অর্ধেক বা চারভাগের এক ভাগ অংশ খেতে পরামর্শ দেন।

৩। আস্ত শস্য
ওটমিল, পাউরুটি, বাদামী চালের মত আস্ত শস্যদানা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। প্রেট বলেন, ‘শরীরের প্রতিটা অঙ্গই রক্ত প্রবাহের উপর নির্ভরশীল’।‘কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত প্রবাহের ও উন্নতি ঘটে, এর মধ্যে মস্তিস্ক ও অন্তর্ভুক্ত’। গম বীজে ফাইবার, ভিটামিন ই, এবং কিছু ওমেগা-৩ এস থাকে।কালজ পরামর্শ দেন – আধা কাপ আস্ত শস্যের সিরিয়াল, ১ টুকরো পাউরুটি দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন।

৪। মটরশুঁটি
মটরশুঁটি রক্তে চিনির মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখে। কালজ বলেন, গ্লুকোজ হচ্ছে মস্তিস্কের জ্বালানী। যদিও মস্তিস্ক গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে পারে না, এটি শক্তির ক্রমাগত প্রবাহের উপর নির্ভর করে এবং মটরশুঁটি এটি দিতে পারে’। প্রতিদিন আধা কাপ মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দেন কালজ।

৫। ডালিমের রস
ডালিমের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে মস্তিস্ককে রক্ষা করতে পারে।‘দ্যা বেটার ব্রেইন বুক’ বই এর লেখক এবং বোর্ড সারটিফাইড স্নায়ুবিদ ডেভিড পার্লমুটার বলেন, ‘ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির ক্ষেত্রে অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে মস্তিস্ক অনেক বেশি সংবেদনশীল’। সাইট্রাস ফল এবং রঙিন সবজিকেও ‘ব্রেইনি ফুড’ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ করেন পার্লমুটার। যেহেতু ডালিমের রসে চিনি থাকে তাই তিনি প্রতিদিন ২ আউন্স পান করার পরামর্শ দেন।

৬। চা
ঠান্ডা অথবা গরম সদ্য তৈরি করা চায়ে পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা মস্তিস্কের শক্তি বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মেজাজ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে।এছাড়াও চায়ে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্ত প্রবাহের উন্নতিতে সাহায্য করে।

৭। ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ক্যাফেইন সহ প্রচুর প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে যা ফোকাস এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং অ্যান্ডোরফিন এর উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে যা মেজাজের উন্নতিতে সাহায্য করে। দিনে আধা আউন্স বা ১ আউন্স ডার্ক চকলেট আপনাকে প্রয়োজনীয় উপকারিতা দেবে। এটি এমন একটি সুপার ফুড যা বেশি খাওয়া উচিৎ নয়। কালজ বলেন, ‘এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে’।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে জলপাই এর ব্যবহারে

http://bdwedding.blogspot.com/

জলপাই একটি টকজাতীয় ফল। খোসাসহ খেতে হয়। খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে। আর পাকস্থলী ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেল খুব স্বাস্থ্যকর। রান্না ও আচারের কাঁচা জলপাইয়ে পুষ্টি এতে বেশি। বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ বলেন, ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে থাকে ৭০ ক্যালোরি। এতে শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ ৩.১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি থাকে ৩৯ মিলিগ্রাম। যে কোনো বয়সের জন্য বিশেষ করে হৃদরোগী ও অস্ত্রোপচারের পর জলপাই খেলে উপকার পাওয়া যায়।

জলপাইয়ের ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ ত্বক, চুল, দাঁতের উজ্জ্বলতা ও পুষ্টি জোগায়। সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। এ ছাড়া জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় লালচে ফোঁড়া এ সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।

রক্ত চলাচল ঠিক রেখে হৃৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে অবদান রাখে জলপাই। পরিমাণে কমে যায় লাইপোপ্রোটিন। এ ফলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট আছে, যা দেহের ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়।

জলপাইয়ের তেল রান্না করে খাওয়া এবং ত্বক দুটোর জন্যই খুবই উপযোগী। এই তেলে চর্বি বা কলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যে কোনো কাটা-ছেঁড়া ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী ।

shortcut key of Microsoft word

ব্যাসিক শর্টকাট

http://bdwedding.blogspot.com/

Sl.Shortcut KeyFunction
1Ctrl+Aফাইলের সব কিছু সিলেক্ট করা
2Ctrl+Bসিলেক্ট করা টেক্সটকে বোল্ড করা
3Ctrl+Cসিলেক্ট করা যে কোন কিছু কপি করা
4Ctrl+Dফন্ট ডায়ালক বক্স দেখাবে
5Ctrl+Eসিলেক্ট করা টেক্সকে পৃষ্ঠার মাঝে নিতে
6Ctrl+Fফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস ডায়ালক বক্স থেকে কোন টেক্স খুজে বের করা
7Ctrl+Gনির্দিষ্ট পৃষ্ঠায় যাবার জন্য ব্যবহৃত হয়
8Ctrl+Hফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস ডায়ালক বক্স থেকে কোন টেক্স রিপ্লেস করার জন্য
9Ctrl+Iসিলেক্ট করা টেক্সকে ইটালিক/ বাঁকা করতে ব্যবহৃত হয়
10Ctrl+Jটেক্স জাস্টিফাই করতে ব্যবহৃত
11Ctrl+Kসিলেক্ট করা যে কোন কিছু লিংক করতে ব্যবহৃত হয়
12Ctrl+Lটেক্স পৃষ্ঠার/টেক্স বক্সের বাম দিকে নিতে
13Ctrl+Mটেক্স এর নির্দিষ্ট স্থান বাম দিকে ফাঁকা করতে ব্যবহৃত এটি ট্যাব এর ন্যায় কাজ করে
14Ctrl+Nনতুন ডকুমেন্ট ফাইল খুলতে ব্যবহৃত হয়
15Ctrl+Oপুরাতন বা সেভ করা ফাইল খুলতে
16Ctrl+Pপ্রিন্ট ডায়ালগ বক্স দেখাবার জন্য ব্যবহৃত
17Ctrl+Rটেক্স পৃষ্ঠার/টেক্স বক্সের ডান দিকে নিতে
18Ctrl+Sনতুন ফাইল সেভ বা পুরাতন ফাইলের সংযোজন অংশ সেভ করতে ব্যবহৃত
19Ctrl+Tসাধারণ টেক্স নাম্বারিং এর জন্য সাহায্যে করে বাম থেকে দ্বিতীয় লাইন থেকে নির্দিষ্ট স্থান দূরে সরে যাবে
20Ctrl+Uটেক্স এর নীচে দাগ দিতে ব্যবহৃত
21Ctrl+Vকপি করা যে কোন কিছু পেষ্ট করতে ব্যবহৃত
22Ctrl+Wপ্রোগ্রাম বন্ধ না করে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট বন্ধ করতে ব্যবহৃত
23Ctrl+Xসিলেক্ট করা যে কোন কিছুকে কাট করতে ব্যবহৃত হয়
24Ctrl+Yপরবর্তী কাজ সমূহে চলে যাবার জন্য
25Ctrl+Zপূর্ববর্তী কাজ সমূহে চলে যাবার জন্য

Create, save, view and print documents

Sl.Shortcut KeyFunction
1Ctrl+Nনতুন ডকুমেন্ট শুরু করা
2Ctrl+Oওপেন ডায়ালগ বক্স প্রদর্শন করা
3Ctrl+Wঅ্যাকটিভ ডকুমেন্ট বন্ধ করা
4Ctrl+Sডকুমেন্ট সংরক্ষণ বা সেভ করা
5Ctrl+Pপ্রিন্ট ডায়ালগ বক্স প্রদর্শন বা প্রিন্ট করার জন্য
6Alt+Ctrl+Iপ্রিন্ট কত পেইজ থেকে কত পেইজ হবে বা প্রিন্ট প্রিভিউ প্রদর্শন করার জন্য
7Alt+Ctrl+Pপ্রিন্ট লেআউট প্রদর্শন করার জন্য
8Alt+Ctrl+Oআউটলাইন ভিউ প্রদর্শন করার জন্য
9Alt+Ctrl+Nড্রাফট ভিউ প্রদর্শন করার জন্য

Find, Replace and Browse through text

Sl.Shortcut KeyFunction
1Ctrl+Fকোন ওয়ার্ড সার্চ করার জন্য
2Alt+Ctrl+Yআরেকটা ওয়ার্ড সার্চ করার জন্য (একটা সার্চ রিপ্লেস করার পর)
3Ctrl +Hরিপ্লেস ডায়ালগ বক্স প্রদর্শন করার জন্য
4Ctrl+Gগো টু ডায়ালগ বক্স প্রদর্শন করার জন্য
5Alt+Ctrl+ Zআপনি শেষ চারটি জায়গায় সংশোধন করেছেন তা প্রদর্শন করবে
6Ctrl+PageUpপূর্বের সংশোধনের স্থানে যাওয়ার জন্য
7Ctrl+PageDownপরের সংশোধনের স্থানে যাওয়ার জন্য

Edit and Move Text and Graphics

Sl.Shortcut KeyFunction
1Backspaceবামদিক থেকে একটি বর্ণ ডিলিট করার জন্য
2Ctrl + Backspaceবামদিক থেকে একটি শব্দ ডিলিট করার জন্য
3Deleteডানদিন থেকে একটি বর্ণ ডিলিট করার জন্য
4Ctrl + Deleteডানদিক থেকে একটি শব্দ ডিলিট করার জন্য
5Ctrl+ Zশেষ কাজটি বাতিল করার জন্য
6Ctrl + Cনির্বাচিত টেক্সট কপি করার জন্য
7Ctrl + Xনির্বাচিত টেক্সট কাট করার জন্য
8Ctrl+Vকপি/কাট করা টেক্সট পেস্ট করার জন্য
9Alt+Shift +Rহেডার অথবা ফুটারের পূর্বের অংশ কপি করার জন্য
10Ctrl +Alt +Vপেস্ট স্পেশাল ডায়ালগ বক্স প্রদর্শনের জন্য
11Ctrl + Shift + Vশুধু ফরম্যাটিং পেস্ট করার জন্য
12Ctrl+F9খালি ফিল্ড ইনসার্ট করার জন্য
13Shift +Enterএকটি প্যারাগ্রাফে একটি নতুন লাইন শুরু করার জন্য
14Ctrl + Enterপেজ ব্রেক ইনসার্ট করার জন্য
15Ctrl + shift+ Enterকলাম ব্রেক ইনসার্ট করার জন্য
16Alt+Ctrl+Minus Signএকটি ড্যাশ ইনসার্ট করার জন্য
17Ctrl+Minus Signএকটি ড্যাশ ইনসার্ট করার জন্য
18Ctrl + Hyphenএকটি অপশনাল হাইপেন ইনসার্ট করার জন্য
19Ctrl + Shift + Hyphenনন ব্রেকিং হাইপেন ইনসার্ট করার জন্য
20Ctrl + Shift + Spacebarনন ব্রেকিং স্পেস ইনসার্ট করার জন্য
21Alt + Ctrl + Cকপিরাইট প্রতীক ইনসার্ট করার জন্য
22Alt+Ctrl+Rরেজিষ্টার্ড ট্রেডমার্ক প্রতীক ইনসার্ট করার জন্য
23Alt+Ctrl+Tট্রেডমার্ক প্রতীক ইনসার্ট করার জন্য
24Alt+Ctrl+Full Stopউপবৃত্ত ইনসার্ট করার জন্য

Select Text and Graphics

Sl.Shortcut KeyFunction
1Shift + Right Arrowডানদিক থেকে একটি লেটার নির্বাচিত করার জন্য
2Shift +Left Arrowবামদিক থেকে একটি লেটার নির্বাচিত করার জন্য
3Ctrl+Shift+RightArrowশব্দের শেষ পর্যন্ত সিলেক্ট করার জন্য
4Ctrl+Shift+Left Arrowশব্দের শুরু পর্যন্ত সিলেক্ট করার জন্য
5Shift+Endলাইনের শেষে সিলেক্ট করার জন্য
6Shift + Homeলাইনের শুরুতে সিলেক্ট করার জন্য
7Shift + Down Arrowনিচের একটি লাইন ও সিলেক্ট করার জন্য
8Shift +Up Arrowউপরের একটি লাইন ও সিলেক্ট করার জন্য
9Ctrl+Shift+Down Arrowপ্যারেগ্রাফের শেষ পর্যন্ত সিলেক্ট করার জন্য
10Ctrl+Shift+Up Arrowপ্যারাগ্রাফের শুরু পর্যন্ত সিলেক্ট করার জন্য
11Shift+Page Downস্ক্রীনের নিচে পরবর্তী স্ক্রীনে সিলেক্ট করার জন্য
12Shift+Page Upস্ক্রীনের উপরে পূর্ববর্তী স্ক্রীনে সিলেক্ট করার জন্য
13Ctrl+Shift+Homeকোন ডকুমেন্টের একদম শুরুতে যাওয়ার জন্য
14Ctrl+Shift+Endকোন ডকুমেন্টের একদম শেষে যাওয়ার জন্য
15Ctrl + Aসম্পূর্ণ ডকুমেন্ট সিলেক্ট করার জন্য

Select Text in a Table

Sl.Shortcut KeyFunction
1Tabটেবলের পরবর্তী সেল সিলেক্ট করার জন্য
2Shift +Tabটেবলের পূর্ববর্তী সেল সিলেক্ট করার জন্য
3Shift+Alt+Page Downউপরের সেল থেকে পুরো কলাম সিলেক্ট করার জন্য
4Shift+Alt+Page Upনিচের সেল থেকে পুরো কলাম সিলেক্ট করার জন্য
5Alt+5 on the numeric Keypad (with Num Lock off)পুরো টেবল সিলেক্ট করার জন্য

Apply Paragraph Formatting

Sl.Shortcut KeyFunction
1Ctrl+1সিঙ্গেল লাইন স্পেসিং সেট করার জন্য
2Ctrl + 2ডাবল লাইন স্পেসিং সেট করার জন্য
3Ctrl+5দেড় লাইন স্পেসিং সেট করার জন্য
4Ctrl+0এক লাইন স্পেস দেওয়ার জন্য ২টি প্যারাগ্রাফের মধ্যে
5Ctrl +Eএকটি প্যারাগ্রাফকে মাঝখানে সেট করে
6Ctrl+Jএকটি প্যারাগ্রাফকে জাস্টিফাইড অ্যালাইনমেন্ট দেওয়ার জন্য
7Ctrl+Rএকটি প্যারাগ্রাফকে রাইট অ্যালাইনমেন্ট দেওয়ার জন্য
8Ctrl+Lএকটি প্যারাগ্রাফকে লেফট অ্যালাইনমেন্ট দেওয়ার জন্য
9Ctrl+Mবাম দিক থেকে ইনডেন্ট দেওয়ার জন্য
10Ctrl+Shift+Mবামদিক থেকে প্যারাগ্রাফ ইনডেন্ট বাদ দেয়ার জন্য
11Ctrl+Tহ্যাংগিং ইনডেন্ট দেওয়ার জন্য
12Ctrl+Shift+Tহ্যাংগিং ইনডেন্ট কমানোর জন্য
13Ctrl+Qপ্যারাগ্রাফ ফরম্যাটিং দূর করার জন্য

Perform a Mail Merge

Sl.Shortcut KeyFunction
1Alt+shift+Kমেইল মার্জ প্রদর্শনের জন্য
2Alt+Shift+Nডকুমেন্ট মার্জড করার জন্য
3Alt+Shift+Mমার্জড ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য
4Alt+Shift+Eমেইল মার্জড ডাটা ডকুমেন্ট এডিট করার জন্য
5Alt+shift+Fএকটি মার্জ ফিল্ড ইনসার্ট করার জন্য


কী-বোর্ড শর্টকাট - Free Online Computer Training center / Basic Knowledge about computer

মাইক্রোসফট আফিস একটি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ডকুমেন্ট প্রসেসর। অফিস, বাসা -বাড়ী, স্কুল-কলেজ সবখানেই এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ওয়ার্ড প্রসেসিং এ দক্ষতা বাড়াতে কিবোর্ড শর্টকাটের জুড়ি নেই। কি-বোর্ড শর্টকাট জানা থাকলে আপনি মাউস এড়িয়ে দ্রুত অনেক কিছু করতে পারবেন।

ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর গ্রাফিক ডিজাইন ও ফটো এডিটিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয় সফটওয়্যার। কিন্তু কীবোর্ড শর্টকাট জানা না থাকলে আপনার কাজে গতি অনেক কমে যেতে পারে।

মাইক্রোসফট অফিস (ওয়ার্ড ও এক্সেল) এবং ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর এর প্রয়োজনীয় সব কিবোর্ড শর্টকাট ক্যাটাগরি আকারে সাজানো এবং ব্যাখ্যা দেওয়া যা আপনার কাজে এনে দেবে গতি।

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের জানা নেই স্মার্টফোনের দরকারি অসংখ্য শর্টকাট কোড। তাই এতে আপনার যোগ করা হয়েছে স্মার্টফোনের দরকারি সকল কোড।

আর যে কোন কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার তো ইদানিং অপরিহার্য হয়ে উঠছে। আপনার কম্পিউটারের কাজকে আরো অনেক সহজ ও গতিময় করে দিতে সবশেষে যোগ করা হয়েছে বেসিক ও এডভান্সড কম্পিউটার শর্টকাট।

অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে অজানা তথ্য

http://bdwedding.blogspot.com/

আমাদের মাঝে যারা স্মার্টফোন ব্যাবহার করি তার মধ্যে ৭০ ভাগ ইউজার অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করি। যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড একটি লিনাক্স বেইসড অপারেটিং সিস্টেম তাই কম দামের মধ্যেই এই ওএস টি আমরা ব্যাবহার করতে পারছি। তবে ব্যাবহার করাটাই শেষ না। ইউজ করতে গিয়ে আমরা অনেক প্রশ্ন জেগে উঠে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও কমন একটি প্রশ্ন হলো যা আমরা সবাই কমবেশি করে থাকি তা হল ভাই আমার মোবাইল টা SLOW হয়ে গেছে। এটার স্পীড টা কিভাবে বাড়াবো? আমার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল টির পারফরমেন্স আরও ইম্প্রুভ করবো কিভাবে?? যদিও প্রশ্ন টি ছোট তবে এটার উত্তর অথবা সমাধান করতে হলে একটু পথ আপনাকে হাঁটা লাগবে। তাই আমি আজ এই স্পীড বাড়ানো ও পারফরমেন্স ইম্প্রুভ নিয়ে বিস্তারিত সমাধান দিচ্ছি যা আপনি অনুসরন করলে আপনার ডিভাইস এর ৩০-৪০% স্পীড বাড়াতে পারবেন।

১- ডিভাইস সম্পর্কে জানুনঃ সবার আগে আপনি আপনার নিজের মোবাইল অথবা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সম্পর্কে জানুন। যেমন আপনার মোবাইল এর মডেল, এটার প্রসেসর স্পীড, RAM কতটুকু আছে ইত্যাদি। কারন আপনি যদি বুঝেন যে এক লিটার বোতল এ দুই লিটার পানি রাখা যাবেনা তাহলে সেই বোতল এ দুই লিটার পানি রাখার চিন্তা করবেন না। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর পারফরমেন্স ও স্পীড অনেক টা এরকমই। কারন আপনার ডিভাইস এর কেপাসিটি এর উপর ডিপেন্ড করবে তার স্পীড কতটা হবে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর উপর না।

২- ভার্সন ও সিস্টেম আপডেট করুন– এবার আসুন আপনার মোবাইল এ চালিত অ্যান্ড্রয়েড এর ফার্মওয়্যার ভার্সন টি আপডেট করে নিন। যেমন এখন জেলি বিন 4.2.2 ভার্সন চলছে কিন্তু আপনি ইউজ করছেন ICS 4.0 ভার্সন। তাই আপনার ডিভাইস টি তুলনামূলক ভাবে SLOW থাকবে। তাই আপডেট করে নিন। তবে হাঁ… আপডেট করার আগে ১ নাম্বার এ যেটা বলেছি সেটা মাস্ট দেখতে হবে। মানে নতুন আপডেট আপনার ডিভাইস এ চলবে কিনা অথবা আপনার ডিভাইস সেটা সাপোর্ট করবে কিনা।

৩- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করুন– আমাদের ডিভাইস SLOW হয়ে যাওয়ার প্রধান কারন এই অ্যাপ। কারন আমরা অনেকেই করি কি অ্যাপ দেখলেই ডাউনলোড ও ইন্সটল করি যা আমরা ইউজ করিনা। করলেও মাঝে মাঝে ইউজ করি বলতে গেলে করি না বললেই চলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই অ্যাপ টি আপনার ডিভাইস এর জায়গা দখল করে আছে। অনেক অ্যাপ আছে বেকগ্রাউন্ড এ রানিং থাকে আর তাই একটু হলেও RAM ইউজ হচ্ছে। ধরেন এরকম ৫ টি অ্যাপস আছে আপনার ডিভাইস এ । যদি ৫ টি ৫এমবি করে RAM খায় তাহলে ২৫ এমবি যাচ্ছে এবং এটি অযথা। এতে করে আপনার ডিভাইস স্পীড কমে যাচ্ছে। তাই অযথা অ্যাপ গুলো রিমুভ করুন এখনই।

৪- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিসেবল করুন– ৩ নাম্বার পয়েন্ট থেকে ধরে নিলাম আপনি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করলেন। এবার আসুন জেগুলা রেখেছেন সেগুলারে একটু মডিফাই করি। যেমন ধরুন Skype,Nimbuzz,Fring,Facebook,Twitter,Viber,Tango,WhatsApp ইত্যাদি অ্যাপ গুলো আমরা বেশিরভাগ ইউজার রা ইউজ করি। এখানে কথা হল এই অ্যাপ এর সবগুলাই ওপেন করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ড এ রানিং থাকে যতক্ষণ না আপনি তাদের স্টপ করবেন। সুতরাং ২৪ ঘণ্টা যেই সার্ভিস টি তে আপনি অনলাইন থাকার দরকার নেই সেটি স্টপ অথবা ডিসেবল করে নিন। Settings>App>Running এ গেলে আপনি দেখতে পারবেন কোন অ্যাপ গুলো এখন রানিং এ আছে। যেমন আমি একটি অ্যাপ স্টপ করলাম যা ফাও ফাও ১০ এমবি RAM ইউজ করতেছিল এবং সেখানে আমার অনলাইন থাকার দরকার নাই। performance improve android

৫- আপডেট অ্যাপঃ রানিং অ্যাপ ও স্টপ করলেন। আসুন এবার আরেকধাপ কিছু করি। আমি যেই অ্যাপ গুলো ব্যাবহার করছি তার মধ্যে এই সপ্তাহে কোন না কোন একটি অ্যাপ নিউ ভার্সন আসতে পারে। মানে সেটি আপডেট করা দরকার। আমরা অনেকে মনে করি অ্যাপ আপডেট করে শুধু শুধু ফাও ইন্টারনেট খরচ হচ্ছে । কিন্তু আসলে তা না… অ্যাপ ডেভেলপাররা সবসময় তাদের অ্যাপ গুলো কে এমনভাবে করতেছে যাতে আপনি খুব ভালভাবে তাদের অ্যাপ ইউজ করতে পারেন। এছাড়াও নতুন নতুন অনেক ফিচার এড করে তাদের অ্যাপ এ । তাই কিছু সময় পর পর অনেক অ্যাপ এর আপডেট পাওয়া যায়। তাই আপনার ডিভাইস এ থাকা অ্যাপ গুলো আপডেট করে নিন। আপডেট করতে Play Store>Option>My Apps এ যান। ওখানে আপনার ডিভাইস এ ইন্সটল করা অ্যাপ গুলোর লিস্ট পাবেন এবং যে অ্যাপ গুলোর আপডেট আছে সেগুলো ও দেখাবে।

৬- ভালো মানের এসডি/মেমোরি কার্ডঃ এখানে আরেকটি বড় ফেক্ট আপনার ডিভাইস এর স্পীড এ। আমরা মাস্ট মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করি প্রায় সকলেই। যদিও আমি করিনা কারন আমার ডিভাইস এর সাথে আসা মেমোরি আমার জন্যে যথেষ্ট কারন মোবাইল টা ওরকম ব্যাবহার করা হয় না শুদু রিসার্চ এর কাজে। যাই হোক, আপনাদের জন্যে বলছি… আমরা অনেকে করি কি ২০০-৩০০ টাকা দিয়া একটা চীনা মেমোরি কিনে সেটা মোবাইল এ ব্যাবহার করি। এখানেই বড় ভুল আমাদের। কারন সাইজ এ এক রকম হলেও চীনা অথবা কম দামি মেমোরি কার্ড এর স্পীড অনেক কম থাকে। অ্যাপল এর ম্যাক ও উইন্ডোজ পিসি এর কনফিগ এক রকমই থাকে তবুও অ্যাপল এর ম্যাক এর স্পীড বেশি। কারন ম্যাক এ ব্যাবহার করা হয় SSD ( Solid State Drive) আর উইন্ডোজ পিসি তে ব্যাবহার করা হয় HDD ( Hard Disk Drive ) । এইটুকু পার্থক্য যা ম্যাক এ ব্যাবহার করা হয়। আর এই ম্যাক এ ব্যাবহার করা এই এসএসডি এর স্পীড HDD এর তুলনায় কয়েকগুন বেশি তাই ম্যাক এর স্পীড বেশি হয়। তাই ভালো মানের মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করুন।

৭- Widgets এর ব্যাবহারঃ আরেকটা ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার হলো এই Widgets এর বেবহার। আমরা সবাই করি কি হোমস্ক্রিন গুলো রে বাগান এর মতো সাজাই Widgets দিয়া। হুদাই ফাও ফাও… এতো সাজাইয়া লাভ কি। বুঝলাম মোবাইল টা স্টাইলিশ করতেছেন। কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে স্টাইলিশ করতে গিয়া আপনার মোবাইল টা যে অচল হইয়া যাইতেছে!!! এছাড়াও মোবাইল এ আছে ৫০০এমবি RAM. কিন্তু আপনি যে পার্লার এর দায়িত্ব নিছেন সেটায় খরচ হয়ে যাচ্ছে এমনকি ২০০ MB RAM. এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম এ লাগে ২০০ MB এর মতো। তাইলে আর থাকলো কি!! তার মানে আপনার মোবাইল টি গণ্ডার এর মতো কাজ করবে। টাচ করবেন এখন আর সেটা রেসপন্স করবে ৫ সেকেন্ড পর। তাই বলছি যত পারবেন কম Widgets বেবহার করুন।
http://bdwedding.blogspot.com/

৮- লাইভ ওয়ালপেপার এর ব্যাবহারঃ আমরা অনেকেই Live Wallpapers ইউজ করি। এখানে ইউজ করায় বাধা দিলে আমি মাইর ও খাইতে পারি কারন এটা একটু ডায়নামিক ভাব আসে মোবাইল এ । আমিও আগে Live Wallpapers ইউজ করতাম তবে এখন করিনা। তবে এটা সত্যি যে Live Wallpapers ইউজ করলে এটি মোবাইল এর অনেকটা মেমোরি ইউজ করে যা অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। তাই বলছি পারলে এটা ইউজ না করলেও হয় যদি আপনি আপনার ডিভাইস এর স্পীড ইম্প্রুভ করতে চান।

৯- Syncing অফ রাখুনঃ অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম এর আরেকটি সুবিধা হলো লাইভ Syncing । আমাদের মাঝে অনেকেই এটা ইউজ করি। তবে বলছি কি খুব বেশি দরকার না হলে এটা ইউজ কইরেন না। কারন আপনার ডিভাইস টি ২৪ঘণ্টা ইন্টারনেট এ কানেক্ট থাকবে এই অপশন অন থাকলে এবং ডিভাইস এর মেমোরি ইউজ হবে। এতে করে ডিভাইস টি একটু স্লো হবে এবং ইন্টারনেট ডাটা খরচ হবে। ( আমি এটা সবসময় অন রাখি কারন এটা আমার অনেক দরকার। যেমন উপরে দেয়া ছবিগুলো Syncing এর মাধ্যমে আমার পিসি তে পেয়েছি, ক্যাবল দিয়া কানেক্ট করতে হয় নি এছাড়াও আমার নেট ওয়াইফাই এ চলে।)

১০- Animations অফ রাখুনঃ এই অপশন টি আমাদের মাঝে ৭০% ইউজাররা জানিনা। তবে এটা বাই ডিফল্ট অন করা থাকে। তবে এটা হুদাই আকামলা না থাকলেও প্রবলেম নাই। আমি অফ করেই রেখেছি শুরু থেকে। তার মানে এই না আমি মোবাইল ইউজ এ মজা পাই না। আসুন দেখি কিভাবে Animations অফ রাখতে হবে। এটি অফ করার জন্যে- Settings > Developer Options এ যান। এর পর নিচের ছবিতে দেখুন আমি তিনটি অপশন অফ রেখেছি। আপনি চাইলে তিনটি অথবা প্রথম দুইটি অফ রাখলেই হবে। turn off animation

এই ১০ টি টিপস আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি… এবং আপনি এই টিপস গুলো অনুসরন করলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে আপনার ডিভাইস এর স্পীড ও পারফরমেন্স বাড়বেই। তবে হাঁ অনেকেই বলতে পারেন ভাই অনেক অ্যাপ আছে যেমন মেমোরি বুস্টার,স্পীড বুস্টার ইত্যাদি। তো আমরা কি সেগুলা ইউজ করতে পারি?? হাঁ পারেন… তবে আমি বলি কি সেগুলা ইউজ করা তা হেলথ এর জন্য উপকারি না। কারন ওইসব অ্যাপ ইউজ করলে ডিভাইস বেশিদিন টিকে না। তবে আমিও ইউজ করি কারন এক ডিভাইস সারাজীবন ইউজ করবো নাকি!! আচ্ছা ঠিক আছে… বুঝলাম এখন প্রশ্ন করবেন তাহলে ওইসব অ্যাপ এর মধ্যে কোনটা বেশি ভালো?? কোনটা ইউজ করবো?? আপনাদের ওই সব অ্যাপ নিয়ে বিস্তারিত লিখে আপডেট করে দিব। ততক্ষন আমাদের সাথেই থাকুন
http://bdwedding.blogspot.com/