Sunday, April 23, 2017

ক্ষত ভালো করার প্রাকৃতিক উপায়ঃ


আঘাতের ফলে দেহে ক্ষত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় প্রতিটি মানুষেরই থাকে। ছোট খাট ক্ষতের ফলে ত্বকের উপরিভাগে কেটে যায় বা ছিলে যায় বা ছিদ্র হয়। ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার সাধারণ কারণ হচ্ছে দুর্ঘটনা বা আঘাত পাওয়া। এছাড়াও বয়স, অসুস্থতা, স্টেরয়েড ব্যবহার, রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি, ডায়াবেটিস ও অত্যধিক ধূমপান আঘাত প্রবণ হওয়ার কারণ। ক্ষত হওয়ার সাথে সাথে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তা হল- লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, রক্ত পড়া, পুঁজ বের হওয়া এবং ব্যথা করা।

ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য সকল ধরণের ক্ষতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ছোটখাট ক্ষত কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের দ্বারা ঘরেই নিরাময় করা যায়। সাধারণ আঘাতের ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ক্ষত পরিষ্কার করুন

ক্ষতর স্থানটি সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা নিরাময়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষত পরিষ্কার করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রবাহমান পানিতে ধুয়ে নেয়া। আঘাতের স্থানটি সাবান দিয়ে ও কলের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন প্রায় ১০-১৫ মিনিট যাবত। এর ফলে ময়লা, ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়া যতটা সম্ভব দূর হবে। ঠাণ্ডা পানি ব্যথা কমতেও সাহায্য করে। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতর স্থানটি মুছে নিন। তারপর স্টেরাইল ড্রেসিং বা ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন।

২। নারিকেল তেল

খুবই কার্যকরীভাবে ক্ষত নিরাময় করতে পারে নারিকেল তেল। কারণ নারিকেল তেলে ব্যাকটেরিয়ানাশক, প্রদাহনাশক, ময়েশ্চারাইজিং ও হিলিং উপাদান সমৃদ্ধ। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও নারিকেল তেল সংক্রমণ ও দাগ প্রতিরোধ করে। আঘাতের স্থানটিতে এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল লাগান। এর উপর ব্যান্ডেজ লাগান। দিনে ২-৩ বার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করে নারিকেল তেল লাগান।

৩। নিম

নিমে উচ্চমাত্রার এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা কোলাজেন তৈরি করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। ১ টেবিলচামচ নিম পাতার রসের সাথে ১ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ক্ষতের মধ্যে এই পেস্ট লাগান। কয়েকঘন্টা পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন।

৪। হলুদ

হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিবায়োটিক এজেন্ট যা ছোটখাট ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। মলেকিউলার ও সেলুলার বায়োক্যামিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, হলুদের কারকিউমিন ক্ষত নিরাময়ে উন্নতি ঘটায় কোলাজেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এবং প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন কমায়। যদি ক্ষত থেকে রক্ত পরে তাহলে ক্ষততে সরাসরি হলুদ গুঁড়া দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

৫। মধু

ক্ষত নিরাময়ে মধু চমৎকার ভাবে কাজ করে। এন্টিবায়োটিকের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী মধু। ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে যে, অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া কোষ ধ্বংস করতে পারে মধু এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কাঁচা মধু ব্যবহার করতে হবে। মধু যখন ক্ষতের রক্ত ও টিস্যুর সাথে মিশে তখন গ্লুকোজ ও অক্সিডেজ এনজাইমের প্রতিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন পারক্সাইড উৎপন্ন হয়। এটি আস্তে আস্তে মুক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক কাজ শুরু করে এবং টিস্যুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আঘাতের স্থানে মধু লাগিয়ে ড্রেসিং প্যাড দিয়ে বেঁধে দিন।

রসুন, অ্যালোভেরা, আলু, টি ট্রি ওয়েল ব্যবহার করেও ক্ষত নিরাময় করা যায়। কিন্তু মারাত্মক ধরণের ক্ষত, গভীর বা সংক্রমিত ক্ষতের চিকিৎসা জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

নাক দিয়ে কোন কারণে রক্ত পড়লে করতে হবে যে কাজগুলোঃ


নাক থেকে রক্ত পড়ছে হঠাৎ? অস্বাভাবিক কিছু নয়। রক্তচাপ,
মানসিক চাপ, হঠাৎ আঘাত ও আরো নানা কারনে রক্ত পড়তে পারে নাক
দিয়ে। কিন্তু সেটা যদি হয় হঠাৎ করে? অনেক সময় হঠাৎ কোন কারণে নাক
দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে ভয়ে অনেক ভুলভাল চিকিত্সা করে ফেলেন
অনেকেই। কিন্তু সেটা না করে ডাক্তার আসা অব্দি কিছু প্রাথমিক
চিকিত্সার মাধ্যমে ঘরে বসেই নিরাময় করা যায় এই ছোট্ট সমস্যাটির।
আসুন জেনে নিই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘরোয়া সমাধান।
১. প্রথমেই সোজা বসুন এবং মাথাকে একদম সোজা করে রাখুন। অন্যথায়
আপনার নাকের রক্ত পেছনে গিয়ে মুখের ভেতরে চলে যেতে পারে।

২. নাকের নরম ও শক্ত- মোট দুটো অংশ রয়েছে। রক্ত সাধারনত এই নরম অংশ
দিয়েই প্রবাহিত হয়। আঙ্গুলের সাহায্যে নাকের নরম অংশটি হালকা করে
চেপে বন্ধ করে রাখুন। মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।

৩. বরফের কিছু টুকরো নিন। সেগুলো নাক ও গালের ওপর বারবার বুলাতে
থাকুন। ঠান্ডায় রক্তপ্রবাহ একটু হলেও থেমে যাবে।

৪. দশ মিনিটের মতন নাকের ওপর আঙ্গুল চেপে রাখুন।

৫. সাধারনত ১০ বা ২০ মিনিট চাপে থাকলে নাকের রক্ত প্রবাহ থেমে
যায়। তাই এরপরে পরীক্ষা করে দেখুন তখনো রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে কিনা।

৬. হালকা ধরনের কিছু যেমন- ভেসলিন, আপনার নাকের ভেতরে হালকা
করে লাগিয়ে দিন।

৭. এবার ঘন্টাখানিক শুয়ে বিশ্রাম নিন।
তবে কেবল রক্ত পড়া থামালেই সবটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়না। আর
তাই পরবর্তীতে যাতে নাক দিয়ে আবার রক্ত না পড়ে সেটার জন্যেও
কিছু করণীয় রয়েছে।

১. নাক দিয়ে রক্ত পড়া থাকার পরের কিছুটা সময় মাথাকে ত্রিশ থেকে
পয়তাল্লিশ ডিগ্রীতে রাখুন।

২. হাঁচি দেবার সময় নাকের বদলে মুখকে বেশি ব্যবহার করুন। বাতাসটা
যেন নাক দিয়ে না বেরিয়ে মুখ থেকে বের হয়। সতর্ক থাকুন আপনার
নাকের ওপর যেন কোনরকম আঘাত না আসে।

৩. ধুমপান ও গরম কোন পানীয় নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঠান্ডা পানিয়
খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪. মাথাকে নীচু করা থেকে সতর্ক থাকুন। ভারী কিছু তোলার ক্ষেত্রেও
সতর্কতা অবলম্বন করুন।

৫. রক্তকে পাতলা করে দেয় এমন ঔষুধ, যেমন- অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন,
ওয়ারফারিন থেকে দূরে থাকুন।
তবে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কিংবা বেশি সময় ধরে হলে ডাক্তারের
কাছে দ্রুত চলে যান। অনেক সময় রক্তভীতি থাকলে বা দূর্বল হলে জ্ঞান
হারাবার মতন ব্যাপারও ঘটে থাকে রোগীর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে
দেরী না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাটাই উচিত।

অবিশ্বাস্য তথ্য, সকালের নাস্তা খেলে কিভাবে ওজন কমে!


অনেকেই সকালের নাস্তাকে এড়িয়ে যান। এটি একেবারেই ভুল। সকালের নাস্তা আপনার সারাদিনের খাবারকে সুষম করতে অর্থাৎ খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উপায় হলো সকালে সঠিকভাবে, সঠিক পরিমাণে, সঠিক সময়ে নাস্তা খাওয়া।
সকালের নাস্তা খেলে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন, তেমনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সকালের নাস্তা ঠিকমতো করলে শরীরের বিপাক ভালোভাবে সক্রিয় হয়। আর এভাবে খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে রাখা যায়।
সকালের নাস্তা ভালোভাবে করলে সারাদিনের অন্য খাবারগুলোর প্রতি আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যারা সকালের নাস্তা খায় না, স্বাভাবিকভাবেই তাদের ১১টা /১২টার দিকে ভারি খাবার খেতে দেখা যায়। অথবা তারা হয়তো সরাসরি দুপুরের খাবার খায়। এতে আমাদের শরীর অনেকটা সময় না খাওয়ার কারণে স্টারভেশন মুডে চুলে যায়। তখন আপনি যেই খাবারটিই খাবেন, এটি শরীর প্রয়োজনে সংরক্ষণ করে রাখবে। এতে ওজন ধীরে ধীরে বাড়বে। সুতরাং ওজন কমাতে অবশ্যই আপনি সকালের নাস্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
সকালের নাস্তা খেলে শরীরের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। এটি আপনাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।
স্কুলের কাজে পারদর্শিতা অনেক বেশি নির্ভর করে সকালের নাস্তার ওপর। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অনেকেই দেখা যায় নাস্তা না খেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারাই এই কাজটি করে তাদের স্কুলে মনোযোগ অনেক কম থাকে এবং তাদের লেখাপড়ার গুণগত মান ভালো হয় না। তাই শুধু মাত্র শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, আপনার শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে সকালের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে।
সকালের নাস্তা ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা বা ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তায় খেতে হবে অনেক বেশি। এটি সারাদিনের প্রতিটি খাবারের তুলনায় বেশি হবে। সুতরাং সকালের নাস্তা অবশ্যই ঠিক মতো খেয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন।

ত্বকের কালো দাগ দূর করার কার্যকরী উপায়


ত্বকের কালো দাগ নিয়ে আমাদের
চিন্তার
শেষ নেই। বাজারে কালো দাগ দূর করার
জন্য
আছে নানা ব্যান্ডের নানা ক্রিম।
আবার
অনেকেই কালো দাগ ঢাকার জন্য
বিভিন্ন
কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু
এইগুলো কি চিরস্থায়ী সমাধান?
অনেকের
ত্বকের কালো দাগ এত গাঢ় হয়ে যায়
অনেককেই লেজার চিকিৎসারও আশ্রয়
নিতে
হয়। কালো দাগ পড়ার সাথে সাথে যদি
কিছু
প্যাক ব্যবহার করা যায়, তবে এই দাগ
দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আসুন জেনে নিই
ত্বকের
দাগ দূর করার কিছু খুব সহজ উপায়।
ত্বকের কালো দাগ দূর
করার কার্যকরী উপায়
ত্বকের কালো দাগ দূর করার কার্যকরী
উপায়-
১। লেবুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টেবিল
চামচ মধু
লেবু রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। এটি
আপনার
মুখে ভাল করে লাগান। ১০-১৫ মিনিট
অপেক্ষা
করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে
প্রথমে
মুখ ধুয়ে ফেলুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে
মুখ
ধোন। মুখ মুছে কোন ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে
নিন।
২। চন্দনের প্যাক
যা লাগবে- চন্দনের পাউডার ২ টেবিল
চামচ,
লেবুর রস ৩ চাচামচ, গ্লিসারিন ১ চা
চামচ,
গোলাপ জল।
চন্দনের গুঁড়া, লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং
গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি
করে
নিন। মুখে ভাল করে লাগান , বিশেষ কএ
কালো দাগের ওপর লাগান। কিছু সময়
অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা
গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার
এই
প্যাক ব্যবহার করুন।
৩। পেঁয়াজের প্যাক
অনেক দিন পুরানো হয়ে যাওয়া কালো
দাগ দূর
করতে এই প্যাক ভাল কাজ করে থাকে।
পেঁয়াজ এবং আদা পেষ্ট করে নিন। এই
পেস্টটি আপনার কালো দাগের ওপর
ব্যবহার
করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এরপর
ভাল
কোন ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৪। দুধ মধুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- ৩ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, ২
টেবিল
চামচ মধু
কাঁচা দুধ এবং মধু মিশিয়ে নিন। তারপর
এটি
মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
দুধ
ত্বকের রং উজ্জ্বল করে আর মধু ত্বক
ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এই প্যাক
প্রতিদিন
ব্যবহারে কালো দাগ দূর করার
পাশাপাশি
ত্বকের উজ্জ্বলও করে থাকে।
৫। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক
অ্যালোভেরা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার
করতে
পারেন। অথবা অন্য কোনকিছুর সাথে
প্যাক
করেও ব্যবহার করতে পারেন। একটি
অ্যালোভেরা পাতা কেটে শাঁস বের
করে
নিন। শাঁসের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে
পেষ্ট তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে ভাল
করে
লাগান। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। পানি দিয়ে ধোয়ার আগে ২/ ৩
মিনিট
ম্যাসাজ করে নিন। আর দেখুন এক
নিমিষে
দাগ হয়ে গেছে গায়েব।

আজ জেনে নিন সবাই জানার মাঝে অজানা ৬টি তথ্যঃ


☞ আপনি যত বেশি ঠাণ্ডা ঘরে
ঘুমাবেন, আপনার
দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভবনা তত বেশি!!

☞ সারাদিনে একজন পুরুষের চেয়ে
একজন
মহিলা বেশি সংখ্যক বার চোখের
পাতা ফেলেন!!

☞ আপনি যদি হঠাৎ করে সিগারেট
খাওয়া ছেড়ে দেন, তবে সম্ভবনা
আছে যে,
আপনার রাতের ঘুম
একঘণ্টা করে কমে যাবে!!

☞ আপনি যখন হাসেন তখন আপনার
দেহে ক্লান্তি সৃষ্টিকারী
হরমোনগুলো কাজ
করতে পারে না!! এজন্য তখন
আপনাকে আরো বেশি সজীব এবং
সতেজ দেখায়!!

☞ একটা ৬ বছরের বাচ্চা দিনে গড়ে
প্রায় ৩০০
বারের মতো হাসে!! আর একজন
পরিপূর্ণ/প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে হাসেন গড়ে
১৫-১০০ বার!!

☞ আপনার ব্রেইন দিনের চেয়ে
রাতের বেলা কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য
বোধ করে!!
রাতের বেলা ব্রেইনের কাজ করার
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়!

স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান,যা না জানলেই নয়

1. পেটে গ্যাস হলে কয়েকটা লবঙ্গদানা, আদা কুচি বা পুদিনা পাতা ওষুধের মতো কাজে দেবে।

2. জিরা গরম তাওয়ায় সেঁকে হালকাভাবে ছেঁচে নিত প্রতিবার খাবার আগে এক গ্লাস পানিতে এটি এক চা চামচ মিশিয়ে খেলে দ্রুত গ্যাসের উপশম হয়।

3. গ্যাসের ফলে বুক জ্বালাপোড়া করলে গুড় খাবেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এটি এড়িয়ে যেতে হবে।

4. দাওয়াতে আমরা বোরহানি খেলে এর টকদই হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস দূর করে।

5. পেটের যে কোনো সমস্যা উপশমে প্রতি ৫-৬টি বাসক পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা বাসক পাতা বেটে, রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নিয়মিত খেলে এ সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর হবে।

6. প্রতিবার খাওয়ার পর বাটার মিল্কের সঙ্গে সামান্য গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে খেলে এসিডিটি দূর হয়।

Monday, April 3, 2017

না জানলে ক্ষতি . . . . . .


১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে, এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয় যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে রাখাই ভালো।

২. চা পানের পর পর পানি পান করা উচিত নয়। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়।

৩. দরজার পাশে দাড়িয়ে কান খুচাবেননা। অপরপাশ থেকে যেকারো ধাক্কা লেগে বিপদ হতে পারে৷

৪. এক টুথব্রাশ তিনমাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷ তাই প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলান।

৫. খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়৷ এটি গ্যাসের জন্য ক্ষতিকর৷

৬. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেননা। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর৷

থানকুনি পাতার গুনাগুন



জ্বর : থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।

পেটের পীড়া : অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।

গ্যাস্ট্রিক : আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি : বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

রক্ত দূষণ রোধে থানকুনি : প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়।

বাক স্ফুরনেঃ যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ধান কুনি পাতার রস গরম করে ঠান্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে অসুবিধাটা সেরে যায়।

খুসখুসে কাশিতে : ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।

আমাশয় : প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।

পেট ব্যথা : থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা ভাল হয়।

লিভারের সমস্যা : প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।

লাবণ্যতা : যদি মুখ মলিন হয়, লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।

দূষিত ক্ষত : মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুতে হবে।

মুখে ঘা : থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গারগিল করতে হবে।

আঘাত : কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

সাধারণ ক্ষত : থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।

চুল পড়া : অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

পেটের দোষ : মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

স্মরণশক্তি : মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

নাক বন্ধ : ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।

গুণে ভরপুর তেতো করল্লা।



করল্লা নামটা শুনলেই অনেকের চোখেমুখে বিরক্তির ছায়া ফুটে ওঠে। তেতো এই সবজিটিকে খুব সাবধানে এড়িয়ে চলেন অনেকে। ভুলেও মুখে তোলেন না করল্লার তরকারি। কিন্তু তারা কি জানেন এই করল্লার অসাধারণ সব স্বাস্থ্যগুণ? চলুন দেখে নিই অবহেলার এই সবজিটি আসলে আমাদের জন্য কতো উপকারী।

১) ফুসফুসের সমস্যা সমাধান
অ্যাজমা এবং সাধারণ সর্দিকাশির সমস্যা দূর করতে করল্লা সহায়ক। শুধু তাই নয়, করল্লার পাতা এবং তুলসি পাতার পেস্ট সকালে মধুর সাথে খেলে তা এসব সমস্যা কমিয়ে আনে।

২) লিভার সুস্থ রাখে
প্রতিদিন এক গ্লাস করল্লার জুস লিভারের সমস্যা দূর করে। টানা এক সপ্তাহ পান করলে সুফল পাবেন।

৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে করল্লা। করল্লা বা করল্লার পাতা সেদ্ধ করা পানি পান করুন প্রতিদিন। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী।

৪) ব্রণের সমস্যা দূর
ব্রণ, ত্বকের দাগ এবং ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে কাজে আসতে পারে করল্লা। স্ক্যাবিস, রিংওয়ার্ম এবং সোরিয়াসিসের সমস্যাতেও এটি কার্যকর।

৫) ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের জন্য করল্লা বেশ উপকারী। ইনসুলিনের মতো একটি উপাদান থাকার কারণে ব্লাড সুগার কমিয়ে আনতে সক্ষম করল্লা। আপনি যদি সুগার নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ওষুধ খান তাহলে করল্লা খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, নয়তো সুগার বেশি কমে যেতে পারে।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য
করল্লায় অনেকটা ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

৭) কিডনি এবং ব্লাডার সুস্থ রাখে
কিডনি ও ব্লাডারের সার্বিক সুস্থতার জন্য খেতে পারেন করল্লা। এছাড়া কিডনি স্টোন সমস্যাতেও কাজে আসতে পারে করল্লা।

৮) হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
বেশ কিছু দিক দিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে করল্লা। খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় করল্লা। এছাড়াও ব্লাড সুগার লেভেল কমায় বলে এর কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৯) ক্যান্সারের চিকিৎসা
ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে সাহায্য করতে পারে করল্লা। মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে করল্লার নির্যাস কাজে আসে বলে জানা গেছে গবেষণায়। এছাড়া অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের মেটাবলিজমে বাধা দেয় করল্লা।

১০) ওজন নিয়ন্ত্রণ
করল্লায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীর থেকে টক্সিক দূর করে। এটা মেটাবলিজম এবং হজমে সহায়ক, ফলে দ্রুত ওজন কমে। ১০০ গ্রাম করল্লায় মাত্র ১৭ ক্যালোরি থাকে এবং ফাইবার থাকে অনেক বেশি ফলে তা পেট ভরা রাখে।

করল্লা যদি বেশি তেতো মনে হয়, তাহলে দুইটি উপায়ে তেতো ভাব কমাতে পারেন। করল্লা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন কমপক্ষে ১০ মিনিট। এরপর ধুয়ে রান্না করুন। অথবা অল্প লবণ দেওয়া পানিতে দুই মিনিট সেদ্ধ করে নিলেও এর তেতো ভাবটা কিছুটা কমে আসবে।
বিভিন্ন ধরণের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড, ফলেট, ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি আছে এতে।আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অসুখ উপশম করতেও এটি উপকারী। এবার ভেবে দেখুন, এসব জানার পরেও কি আপনি করল্লাকে এড়িয়ে যাবেন?

চুলের যত্ন


-- নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপসগুলো পেতে শেয়ার করুন ----
শীতের এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মাথায় খুশকি বেশি হয়। মাথার তালুতে ফাংগাল ইনফেকশন, অপরিষ্কার থাকা, তৈলাক্ত তালুতে ধুলোবালি জমে যাওয়ার কারণে খুশকি হয়। খুশকি শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের হয়। খুশকির সমস্যাটি অস্বস্তিকর হলেও সচেতন হলে খুশকিমুক্ত থাকা সম্ভব।
খুশকি দূর করতে অর্ধেক পাকা কলা চটকে নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মেশান। এটি চুলের গোড়া ও মাথার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল ১ কাপ, ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
শুকনো সমপরিমাণ মেথি ও আমলকি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পেস্ট করে মাথার ত্বকে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৪-৫টি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলো ৪-৫ কাপ পানিতে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পেস্ট করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করতে বিশেষ সাহায্য করবে।
সব সময় পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করুন। অন্যের চিরুনি কখনোই ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু পরিমাণে কম ব্যবহার করে, বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার নিয়ে মাথার স্কাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। মাথার স্কাল্পে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
খুশকি দূর করতে শসার রস এবং আদার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে মাথায় মাখুন। মাথায় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। চুল ভেজা অবস্থায় বাইরে বেরোবেন না।

কানে ময়লা? পরিষ্কারের দরকার নেই!


অনেকের মাঝেই কান পরিষ্কারের বাতিক রয়েছে। সেফটিপিন থেকে শুরু করে পাখির পালক, হাতের কাছে যা পান তাই দিয়েই কান খোঁচানো শুরু করে দেন। অনেকে আবার রাস্তার পাশেই অনভিজ্ঞ লোকের কাছে কান পরিষ্কার করার জন্য বসে পড়েন। আর কিছু না পেলে কনিষ্ঠ আঙ্গুল তো আছেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্য কথা। আসলে কান পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজনই নেই।
সম্প্রতি একদল মার্কিন বিজ্ঞানী (American Academy of Otolaryngology) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, যারা যত্ন হচ্ছে মনে করে কানের ভেতর কাঠি কিংবা তুলো গুজে দিচ্ছেন তারাই মারাত্মক ভুল করছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, কানে যেভাবে ময়লা জমে তা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আর সেই প্রক্রিয়াতেই ময়লা কান থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। এজন্য বাড়তি কোনো উদ্যোগের দরকার নেই। বরং কান পরিষ্কার করার সময়ে অসতর্কতাবশত আঘাত লাগতে পারে৷ এমনকি কানের পর্দা ছিড়েও যেতে পারে৷ কানের কোনও অসুখের জন্য যদি কান চুলকান, তবে কটন বাড ব্যবহার করলে সেই অসুখের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্টিস হাসপাতালের ডক্টর মিনা নিহালানি বলছেন, কানের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে বরং এই অঙ্গকে অকেজো করে ফেলার ঝুঁকি থাকে। কানের ভেতরে যে সংবেদনশীল অংশ রয়েছে তা বাইরের জিনিস প্রবেশের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ে। কানের নাজুক পর্দা তো ছিড়ে যেতে পারেই, রোগ সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কারণ ছাড়া কান পরিষ্কারের কোনো দরকার নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমেই কান পরিষ্কার হয়৷ যারা নিয়মিতভাবে কান পরিষ্কার করে থাকেন, তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন।
কর্ণ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সব্যসাচী সাক্সেনা তাই বলছেন, এরপরও যদি মনে হয় কানে সত্যি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তবে একটাই পরামর্শ থাকবে। আর তা হল, ডাক্তারের কাছে যান।

হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?


হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেট ব্যথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব কারণে হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয়-

১. খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।

২. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার ও ফাস্টফুড খাওয়ার কারণেও হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা সহজে হজম হতে চায় না।

৩. চিনিজাতীয় পানীয় খুব বেশি পরিমাণে পান করলে হজমে গ-গোল হয়। অতিরিক্ত কোল্ডড্রিংক পান করাও অনুচিত।

হজমের সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায়-

১. এক টুকরা আদা পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন দিনে দুইবার। দূর হবে হজমের সমস্যা।

২. রাতে ঘুমানোর আগে ইসুবগুলের ভুষি কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে পান করুন। খাবার হজম হবে দ্রুত।

৩. হলুদ পানিতে মিশিয়ে পান করুন দিনে একবার।
৪. প্রতিদিন সকালে ২ চা চামচ অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হজমের সমস্যার সমাধান হবে দ্রুত।

৫. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

৬. নিয়মিত দই খেলে দূরে থাকতে পারবেন অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা থেকে।

৭. প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ওটমিল খান। দূর হবে হজমের গ-গোল।


খালি পেটে আদা কি ক্ষতিকর?


সাধারণত পেটের পীড়ায় আদা অনেক উপকারী। কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে। এছাড়া সাধারণ ঠান্ডা জ্বরের মোকাবিলায় আদা মহৌষধের মতো উপকারী। ঠান্ডার জন্য দায়ী রাইনোভাইরাসকে এটা মেরে দেয়। এছাড়া পেটে গোলমাল বা ব্যথার উপশমেও কাজে দেয় আদা। তবে এটা খালি পেটে ক্ষতিকর হতে পারে।
আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের স্বাস্থ পাতার পরামর্শক ড. ম্যান্নি আদা নিয়ে বলেন, ‘আদা আমাদের পাকস্থলীতে পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় যা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু খালি পেটে আদা খেলে এটা গ্যাস্ট্রিক বা হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’
তাই খালি পেটে আদা খাওয়া থেকে সাবধান! তবে খাওয়া দাওয়ার পর বা হালকা নাস্তার পর আদার জুস বা আদা চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।