Friday, March 31, 2017

যে ৩টি খাবার আপনার লিভারকে সুস্থ রাখবে


লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির লিভারের ওজন ৩ পাউন্ড। দেহের এই লিভার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত। যেমন- হজম শক্তি, মেটবলিজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেহে পুষ্টি যোগানো ইত্যাদি। সুস্থ লিভার দেহের রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে, রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়, দেহের সকল অংশে পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও লিভার ভিটামিন, আয়রন এবং সাধারণ সুগার গ্লুকোজ সংরক্ষন করে।
যেহেতু লিভার আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই যে কোন উপায়ে একে সুস্থ সবল রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন দেহের লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, দীর্ঘ সময় ক্লান্তি অনুভব করা, হজমের সমস্যা, এলার্জি ইত্যাদি এই সমস্ত অসুখ দেখা দিতে পারে অসুস্থ লিভারের কারণে। তাই দেহ ও লিভার সুস্থ রাখার জন্য চিনে নিন এমন কিছু খাবার যা সুস্থ রাখবে আপনাকে।
রসুন
লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য উত্তম খাবার হল রসুন। রসুনের এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে। এতে আছে আছে আরও দুটি উপাদান যার নাম এলিসিন এবং সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কার রাখে এবং ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান হতে রক্ষা করে।
১। প্রতিদিন যে কোন সময় ২/৩ টি রসুনের কোয়া খেয়ে নিন।
২। আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রসুন দিয়ে তৈরি ভিটামিনও খেতে পারেন।
লেবু
লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ডি লিমনেন উপাদান লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। তাছাড়া লেবুর ভিটামিন সি লিভারে বেশি করে এনজাইম তৈরি করে যা হজম শক্তির জন্য উপযোগী। লেবুর মিনারেল লিভারের নানান পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার শক্তি বৃদ্ধি করে। বাসায় লেবুপানি পান করুন এবং যেকোন সময় পানের জন্য লেবুপানি বানিয়ে রাখুন। প্রতিদিন লেবুপানি পান করুন, চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আপেল
প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে তা লিভারকে সুস্থ রাখে। আপেলের পেক্টিন, ফাইবার দেহের পরিপাক নালী হতে টক্সিন ও রক্ত হতে কোলেস্টরোল দূর করে এবং সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে। আপেলে আছে আরও কিছু উপাদান- ম্যালিক এসিড যা প্রাকৃতিক ভাবেই রক্ত হতে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। যেকোন ধরণের আপেলই দেহের লিভারের জন্য ভালো। তাই লিভার সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খান।

দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়


মানুষের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ গুলির মধ্যে ঝকঝকে সাদা দাঁত অন্যতম। আর সুন্দর দাঁত মানেই আত্মবিশ্বাস। সামান্য একটু মুক্তা ঝরা হাসিতে যেমন কারও মন কেড়ে নেয়া নিমিষে, তেমনি হলদে দাঁতের হাসি বিরূপ ধারণা তৈরি করে এক মূহূর্তেই। তাই একটু আলাদা করেই যেন নিতে হয় দাঁতের যত্ন।

তবে ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে–এই ধারণাটা ঠিক নয়। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে আপনি নিজেই আপনার দাঁতকে করতে পারেন মুক্তার মত সুন্দর আর উজ্জ্বল। তাই এখনই জেনে নিন দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

১. লেবুর ব্যবহার : প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করার পর পরিষ্কার দাতেঁ এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন । এভাবে ৫/৬ মিনিট ধরে ঘষতে থাকলে ৭ দিনের মধ্যে উত্তম রেজাল্ট পাবেন। এতে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে ।

২. লবনের ব্যবহার: আপনি প্রতি রাতে যখন দাঁত ব্রাশ করেন। এরপর লেবুর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর ব্যবহার শেষ করে হাতে লবন নিন। লবন আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ৫/৭ মিনিট ঘষুন তারপর কুলি করে ফেলুন। এভাবে এটিও ৭ দিন নিয়মিত করেন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুদ। এখন অনেক টুথপেস্টেও লবনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

৩. কলার খোসার ব্যবহার : কলা খাওয়ার পর খোসাটি না ফেলে সেটি একাকী দাতেঁ ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুটি কলা খান এবং খোসাটি ঘসুন ৫ মিনিট ধরে । ৭ দিন হওয়ার আগেই এর ফলাফল পাবেন। ঝকঝকে সাদা দাঁত। এছাড়া কলার খোসা দিয়ে আপনার রুপ চর্চাও করতে পারেন।

৪. বেকিং সোডা : বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

৫. কমলার খোসা কিংবা কলার খোসা : কমলা এবং কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম যা দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। এই ফলগুলো খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।

৬. আপেল, গাজর এবং দুধ : ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে খাবার তালিকায় নিয়মিত গাজর, আপেল এবং দুধ রাখতে হবে। এই খাবারগুলো দাঁতের এনামেলকে ঠিক রাখে।

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : আঙ্গুলের ডগায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে কিছুক্ষণ দাঁতে ঘষে নিন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে দাঁতের হলদে ভাব কমে যাবে।

৮. সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা : আমরা বেশির ভাগ মানুষই সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করি না। চিকিৎসকদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। দাঁত ব্রাশের সময়ে অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে মাড়ি এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। এছাড়াও নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার


বর্তমানে চুল পড়া সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। যাদের চুল পড়ার মাত্রা বেশি তাদের অনেক ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায়। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। জেনে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার।

পেঁয়াজের রস ও মধু:
খুশকি এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং মধু নিন। মাথায় হাল্কা মালিশ করে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস ও আমন্ড অয়েল:
আমন্ড তেল রুক্ষ চুলের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশালে চুল পড়া বন্ধ করতেও এটি সাহায্য করে। এক্ষেত্রেও এই দুইটি সমপরিমাণে নিয়ে মাথায় লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রাখার পর হাল্কা গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল:
চুলের চর্চার ক্ষেত্রে নারকেল তেল বহুকাল ধরে ব্যবহূত হয়ে আসছে।   এটি চুল পড়া বন্ধেরও সাহায্য করে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ  রস মেশালে কার্যকারিতা আরো বেশি বেড়ে যায়। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ করবে।

পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল:
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল হল পারফেক্ট কম্বিনেশন। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই মিশ্রণটি হাল্কা গরম করে চুলে লাগান। এক-দেড় ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও গরম পানি:
এক মগ গরম পানিতে পাঁচটি পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটির দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর পাঁচ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এক মাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। 

মাথা ব্যথা দূর করার ১০টি কৌশলঃ


অতিরিক্ত কাজের চাপ ও টেনশন, পুষ্টির অভাব এবং কম ঘুমের কারণে সাধারণত মাথাব্যথা হয়। মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমরা প্যারাসিটামল কিংবা ব্যথানাশক
ওষুধ খেয়ে থাকি। এসব উপায় সাময়িক মুক্তি দেয়, কিন্তু কিছু অভ্যাস রপ্ত করে নিলে
আপনি মাথাব্যথা থেকে একেবারে মুক্তি পেতে পারেন।
১) প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান। পর্যাপ্তপরিমাণে ঘুমান।

২) হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল ভাল হবে, ফলে মাথাব্যথা দূর হবে।

৩) চিন্তা মুক্ত থাকুন।

৪) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

৫) কফি কিংবা চা পান করতে পারেন। চা ও কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন মাথা ব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

৬) লবঙ্গ গুঁড়ো করে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ঘ্রাণ নিন। এতে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৭) হালকা গরম জলে হাত- পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
ফলে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৮) একটানা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখকে বিশ্রাম দিন।

৯) মাথা, কপাল ও ঘাড় ভালমতো ম্যাসাজ করুন। এতেও মাথাব্যথা দূর হবে।

১০) কাঙ্ক্ষিত অনাকাঙ্ক্ষিত সব পরিস্থিতি থেকে আনন্দ খুঁজে নিন, প্রাণ খুলে হাসুন।

[][] উপরের কৌশল গুলো মেনে চললেই খুব সহজেই মাথা ব্যথা দূর করতে পারবেন।

আজ জেনে নিন সবাই জানার মাঝে অজানা ৬টি তথ্যঃ


☞ আপনি যত বেশি ঠাণ্ডা ঘরে
ঘুমাবেন, আপনার
দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভবনা তত বেশি!!

☞ সারাদিনে একজন পুরুষের চেয়ে
একজন
মহিলা বেশি সংখ্যক বার চোখের
পাতা ফেলেন!!

☞ আপনি যদি হঠাৎ করে সিগারেট
খাওয়া ছেড়ে দেন, তবে সম্ভবনা
আছে যে,
আপনার রাতের ঘুম
একঘণ্টা করে কমে যাবে!!

☞ আপনি যখন হাসেন তখন আপনার
দেহে ক্লান্তি সৃষ্টিকারী
হরমোনগুলো কাজ
করতে পারে না!! এজন্য তখন
আপনাকে আরো বেশি সজীব এবং
সতেজ
দেখায়!!

☞ একটা ৬ বছরের বাচ্চা দিনে গড়ে
প্রায় ৩০০
বারের মতো হাসে!! আর একজন
পরিপূর্ণ/
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে হাসেন গড়ে
১৫-১০০
বার!!

☞ আপনার ব্রেইন দিনের চেয়ে
রাতের
বেলা কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য
বোধ করে!!
রাতের বেলা ব্রেইনের কাজ করার
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়!


:::::মধুর কিছু উপকারিতা::::


—মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।

—মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি।
তাই মধু সহজে হজম হয়।

—চোখের জন্য ভালো।

—গলার স্বর সুন্দর করে।

—শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়।

—আলসার সারাতে সাহায্য করে।

—নালীগুলো পরিষ্কার করে।

—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

—মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বকসুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

—বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়।

—শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়|

যেনে রাখুন কাজে লাগবে


** ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি খেলে তা হার্ট এটাক এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং আপনার হজমে সাহায্য করবে।

** প্রতিদিন একটি তুলসী পাতা আপনাকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখবে।

** প্রতিদিন একটি লেবু আপনাকে মেদ ভূড়ি থেকে দূরে রাখবে।...