Saturday, August 19, 2017

বাসর রাতে রক্তক্ষরণ সম্পর্কে ভুল ও সঠিক ধারনা


#প্রশ্নঃ
আমার ধারণা মতে, মেয়ে যদি ভার্জিন বা কুমারী হয় তাহলে বাসর রাতে প্রথম সেক্স করার সময় রক্তক্ষরণ হয় ও চিৎকার করে। আর যদি রক্তক্ষরণ না হয় তাহলে বিয়ের পূর্বে সেক্স করেছেন বলে ধরা হয়। এটা কতটুকু সত্য???
#উত্তরঃ
:
সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। নারীর যৌনাঙ্গে সতীচ্ছেদ নামের পর্দা ৯/১০ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাধুলা করার সময় আপনা থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর সতীত্ব জড়িত নয়।
আবার অনেকে মনে করেন প্রথমদিন স্ত্রী মিলনকালে কান্নাকাটি-চিল্লা-পাল্লা না করার মানেই হলো সে অভ্যস্থ ছিল (অর্থাৎ আগে অন্যের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি..)
বিধাতা নারীর যৌনাঙ্গকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন "যেন এটি যেকোন আকারের লিঙ্গকে গ্রহন করতে পারে" একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী মোটা/চিকন/লম্বা/খাটো সব লিঙ্গের চাপ সইতে পারেন। যদি মিলনের পুর্বে নারী ঠিক মত উত্তেজিত হয় তাহলে যোনীতে যে পিচ্ছিল রস নিঃসরন হয় তা মুলতঃ ব্যথামুক্ত মিলনের জন্যই হয়ে থাকে। যেখানে বিধাতা নারীকে ব্যথামুক্ত মিলনের জন্য এমন সৃষ্টি রহস্য জুড়ে দিয়েছেন সেখানে আপনি কেন চাইবেন যে মানুষটি সম্পুর্ন জীবন কাটানোর জন্য আপনার ঘরে এসেছে - তার শুরুটা হউক কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে?
অনেক নারীই মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। এমন কি বিয়ের ১০/১৫ বছর পরও। তবে সবাই চিৎকার চেচামেচী করেন না। নিরব থাকার মানে এটা নয় যে নারী আগে থেকে যৌনকাজে অভ্যস্থ। তবে অনেক নারী চালাকি করে প্রথমদিকে এমন ভাব
করেন যেন তিনি সইতে পারছেন না! অতএব ব্যথা পাওয়া না পাওয়ায় নারীর সতীত্ব প্রমান হয় না।
আরো মজার ব্যপার হলো নারীর যোনী ৪৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থায় থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গও ৪৫ ডিগ্রিতে উর্দ্ধমুখী উত্থান হয়। ফলে অনায়াসে মিলন কাজ সম্পর্ন করা যায়। এ নিখুত সৃষ্টি রহস্য বিধাতাই আমাদের শরীরে রেখেছেন।
সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়ঃ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দুই জিনিস থাকলে সংসার টিকবে না - টিকলেও অশান্তির বাসা হবে।
১. অহংকার (যদি বউ মনে করে আমি তার চেয়ে বেশি যোগ্য - কিংবা স্বামী মনে করে সে আমার তুলনায় নিন্ম।
২. অবিশ্বাস আর ভালবাসা একত্রে বসত করে না। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে বিয়ের সময় মুখে কবুলও বলে না। আর কাগজে রেজিষ্ট্রি সমাজকে দেখানোর জন্য। বিয়ে মুলত হয় মন আর মনের। যে পুরুষ বিয়ের দিনেই বউকে সামান্য ভুল ধারনার কারনে অবিশ্বাস করতে শুরু করে তার ভবিষ্যত কতটা অসুখের তা কল্পনা করতে গা শিউরে উঠছে! ভাই যাকে নিয়ে আমার সারা জীবন পথ চলতে হবে অজ্ঞতা বশত তাকে যদি সন্দেহ করা শুরু করি তবে বিয়ে করার কি দরকার ছিল?
সবকথার শেষ কথা "বিশ্বাস করতে এবং বিশ্বাস রাখতে
শিখুন - সুখি থাকবেন"
মেয়েরা - দয়া করে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের শাররীক আনন্দের জন্য সারাজীবনের জন্য কলঙ্কিত হবেন না। বিয়ের আগ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরুন। হ্যাঁ হয়তো একটি ছেলে ধরতে পারবে না আপনি সতী নাকি অসতী! কিন্তু বুকে হাত রেখে বলতে পারেন, আপনি অনুশোচনায় নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?

অসাধারন কিছু টিপস যা সবসময় আপনার উপকারে আসবে :-


-
১। চুলকানি জাতীয় চর্মরোগে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে লাগালে ভাল হবে।
২। রক্ত আমাশয়ে ডুমুর গাছের শিকড়ের রস দিনে দু'বার খান।
৩। দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে দিন।
৪। দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে জামের বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন।
৫। ফোঁড়া হলে তা অনেক সময় না পেকে শক্ত দলার মত হয়ে যায়। কলমি শাকের কচি ডগা ও শিকড় একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার ওপর প্রলেপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিন। এতে ফোঁড়া পেকে যাবে।
৬। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে চালতা গাছের পাতা ও মূলের ছাল সমপরিমাণ একসঙ্গে বেটে হালকা গরম করে ব্যথার জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৭। ঠোঁটের দু'পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
৮। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভাল হয়।
৯। অনেকের গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ হয়। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গা মুছলে তা কমে।
১০। মাথা ব্যথা হলে কালোজিরা একটা পুটলির মধ্যে বেঁধে শুকতে থাকুন; ব্যথা সেরে যাবে।
১১। কাশি হলে দুই টুকরো দারুচিনি, একটি এলাচি, ২টি তেজপাতা, ২টি লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন; হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে কাশি ভাল হবে।
১২। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়।
১৩। দই খুব ভাল এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে৷ এসিডিটির সমস্যা শুরু হওয়া মাত্র তা কয়েক চামচ খেয়ে নিন।
১৪। গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন; কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
১৫। ছুরি/দা/বটিতে হাত কেটে গেলে এক টুকরা সাদা কাগজ কাটা জায়গায় লাগান। রক্ত বন্ধ হবে।
১৬। শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৭। জিভে বা মুখে সাদা ঘা হলে পানির সঙ্গে কর্পূর গুলে দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন।
১৮। ঘুম ভাল হওয়ার জন্য ডালিমের রসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে খেতে পারেন।

বিভিন্ন রোগের খুব সহজ সমাধান,যেই সমাধান কল্পনাও করা যায় না


১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!
২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!
৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।
৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!
৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।
৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।
৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।
৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।
৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।
১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।
১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।
১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।
১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

মানলে উপকার আপনারই হবেঃ



১. সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত। মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভাল। এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না।

২. পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাটা উচিত। সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের
জন্য বিশেষ উপকারী।

৩. খালি পেটে চা বা কফি খাওয়া ঠিক না। খাবার আগে অবশ্যই কিছু খাওয়া প্রয়োজন।

৪. খাবার যতদূর সম্ভব নিয়মিত খাওয়া উচিত। খিদে না পেলে কখনই খাওয়া উচিত নয়, আবার খুব বেশী বা খুব কম খাওয়াও উচিত নয়।

৫. সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একদিন উপবাস করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। আমাবশ্যা বা পূর্ণিমাতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

৬. খাবার সময় বেশি পানি খাওয়া ঠিক না। খাবার শেষ করার অন্তত ১ ঘন্টা পরে পানি
খাওয়া উচিত তবে দিনে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই ভাল। বেশি পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই।

৭. তাড়াতাড়ি বা অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া ঠিক না।খাবার সময় কথা বলা ঠিক না।

৮. খাবার ভালমত চিবিয়ে খাওয়া উচিত। খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়।

৯. দুপুরে খাবার সময় ১২ টা এবং রাতে খাবার সময় ৯ টার আগে হওয়া উচিত। কেননা বেশি রাতে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না, তাই রাতে হালকা খাওয়া উচিত। অধিক রাতে দুধ ছাড়া কিছু খাওয়া ঠিক না।

১০. রাতে খাওয়ার অনন্ত আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ঘুমাতে যওয়া উচিত।

১১. অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর বিশ্রাম না নিয়ে খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি খাবার পর অবশ্যই
কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া দরকার।

১২. রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না।

সকালের ৪ টি ভুলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে দেহের:যে ক্ষতিগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে মরণের দিকে



সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা অভ্যাসবশত কিছু না কিছু কাজ করে থাকি। এ কাজ গুলো আমাদের শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে৷ অাসুন জেনে নেই কি সেই কাজগুলো-
১। ঘুম থেকে উঠে বিছানায় অনেকটা সময় বসে থাকা
অনেকে ঘুম ভেঙে তো উঠে পড়েন ঠিকই কিন্তু আলসেমি করে অনেকটা সময় বিছানাতেই পার করে দিয়ে থাকেন। এতে করে আপনার দেহ ভুল সিগন্যাল পেয়ে যায়। অর্থাৎ আপনার নার্ভ সিস্টেম কখন কি করা উচিত তা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তাই ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে না থেকে ১ মিনিট থেকে আলতো করে আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ুন।

২। বিছানায় বসে চা/কফি পান করে নেয়া
অনেকেই বেড টি নিয়ে থাকে, আবার অনেকে বিছানায় বসেই কফি পান করে থাকেন ঘুম তাড়ানোর আশায়। কিন্তু এতে করে ক্ষতি হচ্ছে আপনার হজম শক্তির। সকালে উঠেই অ্যাসিডিক পানীয় পান না করে হালকা কিছু পান করুন। পানি পান করুন। সকালের নাস্তা শেষে তবেই চা/কফি পান করুন।

৩। ঘুম ভাঙার পরপরই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া
অনেকেরই অভ্যাস সকালে ঘুম ভেঙে উঠে না বসেই নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া। ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ঘুরে তবেই অনেকে ক্ষান্ত হন। কিন্তু সকালে উঠেই ফোন ব্যবহারের ফলে এবং নানা সাইট ঘুরে দেখার ফলে আপনার মস্তিস্কের উপর হুট করে চাপ পড়ে যার কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যায় সকাল থেকেই। এতে ক্ষতি হয় দেহের ও মনের।

৪। অল্প নাস্তা বা নাস্তা না করে দিন শুরু করা
আলসেমি এবং ইচ্ছে দুটোকে প্রাধান্য নিয়ে অনেকে সকালে নাস্তা না করেই দিন শুরু করে থাকেন। এতে করে ক্ষতি হয় মস্তিষ্ক এবং শরীরের। সারারাত পর মস্তিষ্ক এবং দেহের সব চাইতে বেশি খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে সকালে। এই সময়েই যদি দেহে খাদ্য সরবরাহ না হয় তাহলে তার খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে শরীর ও মস্তিস্কের উপর।

জেনে নিন গাজরের অবিশ্বাস্য গুণাগুণ


১) গাজর ক্ষুধা বাড়ায় এবং সহজে হজম হয়।
.
২) গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
.
৩) গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়।
.
৪) গাজর শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং ওজন বাড়ে।
.
৫) গাজরে ক্যারোটিন আছে প্রচুর পরিমাণ।
.'
৬) শরীরের পুষ্টি এবং বুদ্ধির বিকাশে গাজর উপকারী।

৭) গাজর খেলে রঙ ফর্সা হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে।
কারণ গাজরে আছে রক্ত পরিষ্কার করার গুণ।
.
৮) গাজরে ফসফরাস থাকার জন্য যারা মাথার কাজ করেন তাদের পক্ষে গাজর ও গাজরের শাক খুব উপকারী।
.
৯) গাজর শরীরের জ্বালা ও পেট ফাঁপা দূর করে।

* ৬ টি স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস


জেনে রাখা ভালো

• সর্বদা বাম কানে ফোন রিসিভ করুন।

• ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঔষধ খাবেন না ।

• বিকেল ৫টার পর ভারী খাবার খাবেন না (বিশেষ করে দুপরের খাবার) ।

• পানি সকালে বেশি পান করুন,
রাতে তুলনামূলক কম ।

• ঔষধ খাওয়ার সাথে সাথেই শুয়ে পড়বেন না।

• ফোনের ব্যাটারি যখন এক দাগ তখন ফোন রিসিভ না করাই ভালো, কারন তখন ফোনের
রেডিয়শন ১০০০ গুন বেশি শক্তিশালী হয় !!

Friday, August 18, 2017

চামড়াসহ মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?


মুরগির গোস্ত অনেকেরই পছন্দ। তবে চামড়াসহ খেতে বললে, দশ হাত দূরে যাওয়ার লোকের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু এত ঘৃণা নিয়ে যা ফেলে দিচ্ছেন, তার গুণাগুণ কিন্তু অনেক। জানেন কি?
না জানলে জেনে রাখুন, এ নিয়ে দীর্ঘ সমীক্ষা বলছে শরীরের জন্য উপকারী মুরগির চামড়া। একথা সত্যি যে, মুরগির চমাড়ায় জমে থাকে প্রচুর ফ্যাট। তবে এতে জমে থাকা ফ্যাটের অনেকটাই অসম্পৃক্ত চর্বি, যা শরীরের পক্ষে উপকারী।
হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকেন স্কিন বা চমাড়ায় লুকিয়ে অসম্পৃক্ত চর্বির ভাণ্ডার। কোলেস্টেরল কমানো কিংবা ব্লাড প্রেশার লেভেল স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে অসম্পৃক্ত চর্বির। হার্ট সুস্থ রাখতেও উপযোগী অসম্পৃক্ত চর্বি।
মুরগির চামড়ায় থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সঠিক পরিমাণে শরীরে গেলে যা বহু রোগের ওষুধ।
সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশ, এক আউন্স বা ২৮.২৫ গ্রাম চিকেনের চামাড়য় মাত্র তিন গ্রাম সম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা ফ্যাট বাড়ায়, তুলনায় অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ প্রায় ৮ গ্রাম, যা দেহের পক্ষে উপকারী।
তবে হ্যাঁ, অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত নয়, চামড়াসহ মুরগি খেলেও তা মেপে খাওয়া জরুরি। চামড়া রান্না করা মুরগি রসনাতৃপ্তিতেও তুলনাহীন। এখন কীভাবে তা রান্না করা হবে, সেই বিষয়েও নজর দেয়া দরকার।
ঝাল-মশলা মাখিয়ে, ডোবা তেলে ভেজে রান্না করা চিকেন থেকে কিন্তু মোটেই কোনো খাদ্যগুণ মিলবে না।

এই ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত


আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন।

তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে।

নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে।

ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।

সুস্থ থাকার টিপসঃ এক গ্লাস পানি।



১. এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার সাথে
সাথে যদি আপনি পান করেন, তবে শরীরের
সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে যায়।
-
২. এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করেন তবে
এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে বেশি।
-
৩. এক গ্লাস পানি গোসলের আগমুহূর্তে
আপনি পান
করলে এটা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে
বাঁচাতে সাহায্য করবে।
-
৪. এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগ
মুহূর্তে যদি পান করেন তবে আপনাকে হৃদরোগ
এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সাহায্য
করবে।

সারা বছরের সর্দি–কাশি থেকে মুক্তির উপায়,এখনই চেষ্টা করুন



শীত পেরিয়ে বসন্ত এসেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ে। বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। গাছে গাছে ফুল ফোটে, নতুন পাতা আসে। তাই ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এসবের মাধ্যমে অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ এ মৌসুমে বাড়ে। এসবের মধ্যে সাধারণ সর্দি-কাশি খুব বেশি দেখা যায়। তবে এই অসুখ সারাতে প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। অ্যালার্জি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন দরকার হয়। আদা-লেবু চা, মধু, তুলসী, কুসুম গরম পানি ভালো। গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে স্বস্তি পাবেন। তবে কফ বা সর্দি হলুদ বা সবুজাভ হলে অথবা জ্বর সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এ সময় ঠান্ডা পানীয় পান এবং আইসক্রিম খাওয়া শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি শুষ্কতা ও ধুলাবালুর প্রকোপ বাড়ে। এসবের প্রভাবে টনসিল ও সাইনাসের প্রদাহ হতে পারে। হাঁপানি ও ক্রনিক ব্রংকাইটিসের মতো শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগের তীব্রতাও বাড়তে পারে। জলবসন্তেরও প্রকোপ বাড়বে এ সময়। এতে জ্বর-সর্দির পাশাপাশি ত্বকে ফোসকার মতো দানা দেখা যাবে। এই অসুখে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। গরমে অনেকেই হয়তো পথেঘাটে শরবত বা আখের রস পান করবেন। এতে কিন্তু ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, টাইফয়েড হতে পারে। তাই বেরোনোর সময় খাওয়ার পানি সঙ্গে বহন করাই ভালো।
এ সময়ে সুস্থতার জন্য ধুলাবালু এড়ানোর প্রয়োজনে নাক-মুখ ঢেকে রাখার পোশাক বা মাস্ক ব্যবহার করুন। যাঁদের পোলেন বা ফুলের রেণুতে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা পার্ক, বাগান থেকে দূরে থাকুন। বিশুদ্ধ পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খান, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।

যে খাবারগুলো পুনরায় গরম করলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে


এমন কিছু খাবার আছে যা নিত্যই খাওয়া হয়। যেমন-ভাত, আলু, মুরগির মাংস, পালং শাক,চা, ডিমি ও খাবার তেল। এই খাবারগুলো পুনরায় গরম করে খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
#ভাত
ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়স ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত ফের গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
#আলু
আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে।
#খাবার_তেল
তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
#মুরগির_মাংস
মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে ফের তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে।
#পালং_শাক
পালং শাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেটস থাকে। রান্না করা পালং শাক ফের গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকতে পারে।
#ডিম
ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদহজমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
#চা
চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।

প্রাত্যহিক জীবনের অতি প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস.....


১. কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন, কালা দাগতো উঠবেই প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস.....  সাথে ঠোটে গোলাপী ভাব আসবে৷
২. কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষুন৷ চলে যাবে৷
৩. ব্রনের উপর রসুনের কোঁয়া ঘষে নিন, তাড়াতাড়ি মিলিয়ে গ্যারান্টি৷
৪. পেডিকিউর মেনিকিউর আপনার কাছে ঝামেলা লাগে? আরে আমি আছি না ? আজ থেকে যখনই আপেল খাবেন তখনই আপেলের
খোসাটা হাত পায়ে ঢলে নিন৷ পা ফর্সা ও পরিস্কার হবে৷
৫. পায়ের গোড়ালী ফাটলে, পেয়াজ বেটে প্রলেপ দিন। ক্রীম কিংবা স্ক্রাব এর ঝামেলায় যেতে হবেনা৷
৬. প্রতিদিন টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজেন কুলি করেন তবুও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ? ব্যাপার না, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে টানা দুইমাস
নিয়মিত দুই কোঁয়া করে কমলালেবু খান৷

কথায় কথায় অ্যান্টাসিড খাচ্ছেন? বিপদ ডেকে আনছেন


যা খাচ্ছেন তাতেই অম্বল? নিজেই করছেন ডাক্তারি? কথায় কথায় খাচ্ছেন অ্যান্টাসিড? নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। দফারফা হচ্ছে কিডনির। ওত পেতে রয়েছে আরও বড় অসুখ।

ফাস্ট লাইফ। দিনভর ব্যস্ততা। কাজের গুঁতোয় লাইফস্টাইলে বদল। বেশিরভাগ সময় খালি পেট। তার ওপর ফাস্টফুডে প্রেম। ব্যস। শরীরের কলকব্জার দফারফা। যা খাচ্ছেন, তাতেই অম্বল। জল খেলেও পেট ভুটভাট। চোঁয়া ঢেকুর। গলা-বুক জ্বালা। বুকে ব্যথা। হাতের কাছে মজুত অ্যান্টাসিড। নিজেই করছেন ডাক্তারি। জানেন কি কী বিপদ ডেকে আনছেন?

অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কিডনির। আর কিডনি দফারফা মানে হাট করে খুলে যাচ্ছে আরও বড় অসুখের দরজা। এমটাই বলছেন চিকিত্সকেরা। অ্যান্টাসিড কীভাবে ক্ষতি করছে কিডনির? কী রয়েছে অ্যান্টাসিডে? শুধু কিডনিই নয়, অ্যান্টাসিডে ক্ষতি গোটা শরীরের। চিকিত্সকদের দাবি,

অ্যান্টাসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অম্বল কমানোর চেয়ে বাড়িয়ে দেয়।

অ্যান্টাসিডের অ্যালুমিনিয়াম হাউড্রক্সাইডও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো বিপদ সাঙ্ঘাতিক। রক্তে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ডেকে আনতে পারে অ্যালঝাইমার্স রোগ।

ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রক্সাইড ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের কারণে ডায়েরিয়া প্রকট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো মারাত্মক বিপদ।

অ্যান্টাসিডে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। রক্তে নুনের প্রকৃতিটাই বদলে দেয়। অ্যান্টাসিডের বিসমুঠ নুন এন্সিফ্যালোপ্যাথি ঘটাতে পারে। মস্তিষ্কের মারাত্মক রোগ। যার অন্য নাম ডিমেনশিয়া।

অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড মিল্ক অ্যালকালি সিনড্রোম ঘটায়। অর্থাত্ রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পৌছনো। যা কিডনি ফেলিওরের জন্য যথেষ্ট।
শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড ব্যবহারে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক। দীর্ঘস্থায়ী মাথার যন্ত্রণা এবং হাড়ের রোগ হতে পারে। পেশির ক্ষতি করে। আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

তাই অম্বল হলেই যথেচ্ছ অ্যান্টাসিড নয়। গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। বাড়াবাড়ি হলে নিতেই হবে চিকিত্সকের পরামর্শ। না হলে কিডনি গোল্লায়।

ঠোঁট ভালো রাখতে ও ঠোঁটের পরিচর্যায় করনীয়



দেহের সংবেদনশীল ত্বকের মধ্যে ঠোঁট একটি। ঠোঁটের ত্বকের গঠন-প্রকৃতিও ত্বকের অন্যান্য অংশের থেকে আলাদা। তাই ঠোঁট সুন্দর ও ভালো রাখতে কিছু বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

সৌন্দর্য বিকাশে ঠোঁটের ভূমিকা অনেক। খাওয়া, কথা বলা ও পারিপার্শ্বিক আকর্ষণ বিনিময়ের সময় ঠোঁট ব্যবহৃত হয় বলে এর গুরুত্ব আরো বেশি। ঠোঁটের সামান্য সমস্যাও অবহেলা করা উচিত নয়।

বিভিন্ন সমস্যা থেকে ঠোঁটকে মুক্ত রাখতে এবং ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো :

ঠোঁট ভালো রাখতে তীব্র রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে না। প্রয়োজনে রোদে কাজ করার সময় ছাতা, ক্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

আবহাওয়া শুষ্ক হলে ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ঠোঁটে ব্যবহার করতে হবে। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা, রুক্ষতা এবং ফেটে যাওয়া দূর হয়ে ঠোঁট নরম ও মোলায়েম হবে।

সিগারেট, পান, সুপারি, গুল, জর্দা ইত্যাদি যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে।
দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ানো, নখ দিয়ে ঠোঁটের চামড়া টানা, জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট চোষা—এ ধরনের অভ্যাস থাকলে সেগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

যেকোনো খাবার বা পানীয় অতিরিক্ত গরম অবস্থায় কখনো খাওয়া উচিত নয়, গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঠান্ডা করে খাওয়া উচিত।

ঠোঁটে অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন : ফুলে যাওয়া, ব্যথা, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।

সামনের দিকে ধারালো বা আঁকাবাঁকা, আসল বা কৃত্রিম দাঁত থাকলে তা একজন ডেন্টাল সার্জনকে দিয়ে ঠিক করে নিতে হবে।

ঠোঁটের পাতলা সংবেদনশীল ত্বককে সব সময় আঘাত থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এগুলো করলে ঠোঁট ভালো রাখা সম্ভব।

স্ট্রোক হলে বাসায় প্রাথমিকভাবে যা করবেন



স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের যদি সময়মতো হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়া হয় তবে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু যদি বাড়িতে এমন রোগী থাকে সেক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া টোটকা মনে রাখা উপকারী হতে পারে। যদি ঠিকমতো তা প্রয়োগ করতে পারেন তবে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকাংশে কমানো যেতে পারে।
এই পদ্ধতি চীনের আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়ে থাকে। চীনের অধ্যাপকদের মতে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে রোগী হয় প্রাণে বেঁচেছেন না হয় চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন। দেখে নিন ঘরে কীভাবে এই রোগের মোকাবেলা করা হয়।
যদি মনে হয়, রোগী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বা হতে পারেন তাহলে তৎক্ষণাৎ ইনজেকশনের সুচ বা সাধারণ সেলাই করার সুচ নিয়ে তার সামনের দিকটি আগুনে পুড়িয়ে নিন। এতে সুচ জীবাণুমুক্ত হবে। এরপর সেটি নিয়ে হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে সামান্য এমনভাবে ফুটিয় দিন যেন সেখানে রক্তপাত হয়। এর জন্য আলাদা করে কোনো ডাক্তারি জ্ঞান থাকা আবশ্যক নয়। মিনিটখানেক অপেক্ষা করে দেখুন রোগী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন কি না।
যদি এরপরেও দেখেন তার মুখ বেঁকে যাচ্ছে তা হলে তার দুই কানে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এমনভাবে করুন যাতে কান লাল হয়ে যায়। এর অর্থ, কানে রক্ত পৌঁছাচ্ছে। এবার কানের নরম অংশে সুচ দিয়ে সামান্য ক্ষত করুন যাতে দুই কান থেকে দু’এক ফোঁটা রক্ত ক্ষরণ হয়। এর ফলে রোগী সামান্য আরাম পাবেন। একটু স্বাভাবিক হলেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখবেন, এই পদ্ধতি শুধু দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়, যাতে রোগীর চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়।

দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়



মানুষের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ গুলির মধ্যে ঝকঝকে সাদা দাঁত অন্যতম। আর সুন্দর দাঁত মানেই আত্মবিশ্বাস। সামান্য একটু মুক্তা ঝরা হাসিতে যেমন কারও মন কেড়ে নেয়া নিমিষে, তেমনি হলদে দাঁতের হাসি বিরূপ ধারণা তৈরি করে এক মূহূর্তেই। তাই একটু আলাদা করেই যেন নিতে হয় দাঁতের যত্ন।

তবে ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে–এই ধারণাটা ঠিক নয়। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে আপনি নিজেই আপনার দাঁতকে করতে পারেন মুক্তার মত সুন্দর আর উজ্জ্বল। তাই এখনই জেনে নিন দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

১. লেবুর ব্যবহার : প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করার পর পরিষ্কার দাতেঁ এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন । এভাবে ৫/৬ মিনিট ধরে ঘষতে থাকলে ৭ দিনের মধ্যে উত্তম রেজাল্ট পাবেন। এতে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে ।

২. লবনের ব্যবহার: আপনি প্রতি রাতে যখন দাঁত ব্রাশ করেন। এরপর লেবুর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর ব্যবহার শেষ করে হাতে লবন নিন। লবন আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ৫/৭ মিনিট ঘষুন তারপর কুলি করে ফেলুন। এভাবে এটিও ৭ দিন নিয়মিত করেন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুদ। এখন অনেক টুথপেস্টেও লবনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

৩. কলার খোসার ব্যবহার : কলা খাওয়ার পর খোসাটি না ফেলে সেটি একাকী দাতেঁ ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুটি কলা খান এবং খোসাটি ঘসুন ৫ মিনিট ধরে । ৭ দিন হওয়ার আগেই এর ফলাফল পাবেন। ঝকঝকে সাদা দাঁত। এছাড়া কলার খোসা দিয়ে আপনার রুপ চর্চাও করতে পারেন।

৪. বেকিং সোডা : বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

৫. কমলার খোসা কিংবা কলার খোসা : কমলা এবং কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম যা দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। এই ফলগুলো খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।

৬. আপেল, গাজর এবং দুধ : ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে খাবার তালিকায় নিয়মিত গাজর, আপেল এবং দুধ রাখতে হবে। এই খাবারগুলো দাঁতের এনামেলকে ঠিক রাখে।

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : আঙ্গুলের ডগায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে কিছুক্ষণ দাঁতে ঘষে নিন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে দাঁতের হলদে ভাব কমে যাবে।

৮. সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা : আমরা বেশির ভাগ মানুষই সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করি না। চিকিৎসকদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। দাঁত ব্রাশের সময়ে অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে মাড়ি এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। এছাড়াও নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।

ফরমালিনের আধিপত্য এবং আমাদের করণীয়



ফরমালডিহাইড একধরণের রাসায়নিক যৌগ। এই উপাদানটি পানিতে মেশালে যে মিশ্রণটি তৈরি হয় সেটাকেই ফরমালিন বলা হয়ে থাকে। ফরমালিন বর্তমানে আমাদের দেশে একটি আতঙ্কের নাম। আর তার কারণ হলো কমবেশি সকল প্রকারের খাবারেই ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিশেষ করে কাঁচা মাছ এবং কিছু ফলের মধ্যে এই ফরমালিনের পরিমাণটা মাত্রাতিরিক্ত বেশি থাকে।
যে কারণে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়

ফরমালিন মূলত খাবারের পচনরোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফরমালিন ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাককে মেরে ফেলে এবং নতুন করে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম রোধ করে। আর তাই তাজা ফল, শাকসবজি, মাছ-মাংস বেশি সময় পর্যন্ত সতেজ রাখার জন্য এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবার ক্ষতিকর এই উপাদানটি ব্যবহার করে।

স্বাস্থ্যে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব

ফরমালিন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান। ফরমালিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান কিডনি, হার্ট, লিভার সবকিছুই নষ্ট করে ফেলে ধীরে ধীরে। বিশেষ করে ছোট শিশুদের শরীরে খুব দ্রুত ফরমালিনের প্রভাব পরে। ফরমালিনযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণে ফুসফুস কিংবা লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ফরমালিন চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। আর ফরমালিনের সবচাইতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে গর্ভবতী মায়েদের উপর। ফরমালিনযুক্ত খাবার গর্ভের সন্তানকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। অনেক সময়ে গর্ভের সন্তানের অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবেও ফরমালিনকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।

তাহলে কী করণীয়?

ফরমালিনের আধিপত্য থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে তিনটি কাজ করা যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে।

- ফরমালিনযুক্ত ফল, শাক-সবজি বাজার থেকে নিয়ে আসার পর ৩০ মিনিট ভিনেগার মেশানো হালকা গরম পানিতে সেগুলো ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। আর মাছ মাংসে ফরমালিন থাকলে সেগুলো ভিনেগার কিংবা লবন মেশানো পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন। এতে ফরমালিনের আধিক্য অনেকটাই কমে যাবে।

- আজকাল বেশ কিছু অনলাইন শপ কিংবা কিছু নির্দিষ্ট দোকানে প্রাকৃতিক বিষমুক্ত শাক-সবজি, ফল এবং মাছ -মাংস পাওয়া যায়। নির্ভেজাল এই পণ্যগুলো নিজের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রেখে পরিবারের সবাইকে বিষমুক্ত খাবার পরিবেশন করতে পারেন।

-নিজের উঠানে বা বাড়ির ছাদে নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি-ফল চাষ, কিংবা মুরগি,কবুতর, কোয়েল পাখি ইত্যাদি লালন-পালন করতে পারেন। পুকুর না থাকলেও ছাদে বা বাড়ির উঠানে ছোট পরিসরে মাছ চাষ করতে পারেন ট্যাঙ্ক বানিয়ে। এভাবে নিজের পরিবারকে বিষমুক্ত খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি আপনার সময়টাও বেশ সুন্দর কাটবে। সেই সঙ্গে সবাই আপনার সৌখিনতারও প্রশংসা করবে।

প্রসাবে জ্বালা পোড়ার কারন ও প্রতিকার


অনেকের প্রসাব এসময় হলুদ হয়
মানে শরিরে পানি কমে গেছে আর শরির
থেকে লবন ও পানি বের হয়ে গেছে তাই তখন
খাবার স্যালাইন খাবেন। অনেকের গরমে চোখ
জালা পোড়া করে,তখন চোখে ঠান্ডা পানির
ঝাপ্টা দিলে ঠিক হয়ে জাবে। পরিচ্ছন্নতার
জন্য প্রতিদিন ২ বার গোসল করা ভাল।

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন কি?


ইসলাম হস্তমৈথুন কে কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।ইসলাম বৈধ স্ত্রী ব্যতিত অন্য কোন ভাবে যৌনক্ষুধা মেটানো কে সমর্থন করেনা । তাই এর থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
.
হস্তমৈথুন এর ফলে শারিরিক কোন ক্ষতি হয় কিনা?
.
আধুনিক বিঞ্জান মতে হস্তমৈথুন এর ফলে কোন ক্ষতি হয়না ।
.
তবে হোমিও, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী শাস্ত্র মতে এর ব্যপক ক্ষতিকর দিক রয়েছে । আর এটাই বাস্তব । যেমন, হোমিও আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী শাস্ত্র মতে হস্তমৈথুন এর ফলে নিম্নবর্তী রোগ গুলো হতে পারে
১.যৌন দুর্বলতা
২.মানসিক অবসাদ
৩.স্নায়ুবিক দুর্বলতা
৪.ধাতু দুর্বলতা
৫.ধাতু তরল হয়ে যাওয়া
৬.গনোরিয়া রোগ
৭. লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন
৯.লিঙ্গ বাঁকা
১০.মাথা ঘুরানো
১১.ঘন ঘন স্বপ্নদোষ
.

অতিরিক্ত শরীরচর্চা কেড়ে নিতে পারে পুরুষের যৌন ক্ষমতা


অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে ভুগতে হবে আপনাকে। এমনটাই বলছেন ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার গবেষকরা। তাদের কথায়, অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে হারিয়ে যায় পুরুষদের যৌন ক্ষমতা।

শরীর নিয়ে ইদানীং নারী মতো পুরুষরাও বেশ সচেতন। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটিয়ে দেওয়া। অতিরিক্ত ওজন তুলে পেশির জোর বাড়ানো। এই পেশির জোর বাড়াতে গিয়ে কমে যাচ্ছে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা। সারাদিনের বেশ কিছুটা সময় জিমে কাটানোর পর বিছানায় অনাসক্ত হয়ে পড়ছেন তারা। এমনটাই দাবি গবেষকদের।

তাহলে উপায় কী? শরীরচর্চা কী একেবারে করবেন না? করবেন, নিশ্চয়ই করবেন। তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটাই সময় জিমে কাটাবেন। গবেষকদের পরামর্শ, সপ্তাহে ছয় ঘণ্টার বেশি শরীরচর্চা করবেন না। তাহলে শরীর-স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে আর যৌনজীবনও অক্ষত থাকবে৷

Thursday, August 17, 2017

এক গ্লাস পানির উপকারিতাঃ-


১) এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার
সাথে
সাথেযদি আপনি পান করেন, তবে
শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে
যায়।
২) এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করেন তবে
এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে বেশি।

৩) এক গ্লাস পানি গোসলের আগ
মুহূর্তে আপনি পান করলে এটা আপনাকে
উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।

৪) এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগ
মুহূর্তে যদি পান করেন তবে আপনাকে
হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে
সাহায্য করবে।

মাদক সম্পর্কে অবিশ্বাস্য তথ্য


মাদক..কে না বলুন।যুব সমাজকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করছি।মাদকের কুফল সম্পর্কে তরুন সমাজকে অবগত করার জন্য শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
যারা খুব আনন্দের সাথে খুব মজা করে ইয়াবা,,গিলেন,ঠিক তাদেরকেই বলছি... খুব এনার্জি দেয় তাই নাহ!!!
মনে রাখবেন ঠিক এক্ষুনি এইটা বাদ দিন। এটা রক্তের স্বাভাবিক গতিকে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মস্তিষ্ক তে রক্ত চলাচল করাতে গিয়ে শিরা উপশিরা ফেটে বা ছিরে যায়।
মস্তিষ্কের কোষ ধংস করে দেয়। আর দেহের অন্যান্য অঙ্গের মত ব্রেইনের কোষ ডেমেজ হলে তা রিকভার হয় না। এইটা আস্তে আস্তে ঘটে। আজ একটু কাল একটু।
তাই আমরা এটাকে ধরতে ও পারি নাহ। একটা সময় আর কুলাতে না পেরে স্ট্রোক হয়। একটা জিনিস খেয়াল করছেন আজকাল খুব কম বয়সে স্ট্রোক হয়।
আমরা কেন হাতে ধরে নিজের আয়ু কমাচ্ছি।
যে ইয়াবা সেবন করে তার রিতিমত বিহেভিয়ার ও চেঞ্জ হয়ে যায়। একটা সময় সে সমাজের একটা ডাম্প হিসেবে পরিচয় পাওয়া শুরু করে।  অসুস্থ হয়ে একবার বিছানায় পড়তে পাড়লে মনে রাখবেন কেও আপনাকে উঠাতে পারবে না। সোজা বিছানা থেকে কবরে।
তাই,,, সবাই সাবধান!! সাবধান!! সাবধান!!
''''"আমার বলার দরকার ছিলো আমি বলছি। মানা না মানা আপনার ব্যাপার। মনে রাখবেন জীবন টা আপনার। তাই সিদ্ধান্ত টা আপনাকেই নিতে হবে।।
প্রতিবেদনটি শেয়ার করে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনের কারিগর যুব সমাজকে রক্ষা করুন।

টক খেলে ঘা শুকায় না—কথাটি কি ঠিক?


অনেকেরই ধারণা, কাটাছেঁড়ার পর বা অস্ত্রোপচারের পর টক জিনিস খেলে ঘা শুকাবে না। কিন্তু ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উল্টো। ভিটামিন সি দ্রুত ঘা শুকাতে সাহায্য করে। টক ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। তাই কাটাছেঁড়ার পর লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী, জাম্বুরা ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া উচিত।

চোখের সুরক্ষায় খাবার


সবুজ শাক, পেঁয়াজ পাতা,লেটুস ,বাঁধাকপি ও শালগম
ইত্যাদি ক্যারোটিনয়েডের চমৎকার উৎস ।
.
লুটিন ও জিএক্সেনথিন নামেরদুটি ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবারনিয়মিত খেলে ভবিষ্যৎতে দ্রুত
চোখে ছানি পড়ারআশংকা বা ঝুঁকি ২৩ শতাংশ
কমানো যায় ।
.
এছাড়া ভিটামিন ‘ই’ ‘সি’ ওবিটা ক্যারোটিন বা জিংক
খাবার মধ্যে বয়সে চোখের অন্ধত্বের প্রকোপ কমায় ।

Sunday, April 23, 2017

ক্ষত ভালো করার প্রাকৃতিক উপায়ঃ


আঘাতের ফলে দেহে ক্ষত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় প্রতিটি মানুষেরই থাকে। ছোট খাট ক্ষতের ফলে ত্বকের উপরিভাগে কেটে যায় বা ছিলে যায় বা ছিদ্র হয়। ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার সাধারণ কারণ হচ্ছে দুর্ঘটনা বা আঘাত পাওয়া। এছাড়াও বয়স, অসুস্থতা, স্টেরয়েড ব্যবহার, রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি, ডায়াবেটিস ও অত্যধিক ধূমপান আঘাত প্রবণ হওয়ার কারণ। ক্ষত হওয়ার সাথে সাথে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তা হল- লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, রক্ত পড়া, পুঁজ বের হওয়া এবং ব্যথা করা।

ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য সকল ধরণের ক্ষতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ছোটখাট ক্ষত কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের দ্বারা ঘরেই নিরাময় করা যায়। সাধারণ আঘাতের ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ক্ষত পরিষ্কার করুন

ক্ষতর স্থানটি সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা নিরাময়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষত পরিষ্কার করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রবাহমান পানিতে ধুয়ে নেয়া। আঘাতের স্থানটি সাবান দিয়ে ও কলের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন প্রায় ১০-১৫ মিনিট যাবত। এর ফলে ময়লা, ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়া যতটা সম্ভব দূর হবে। ঠাণ্ডা পানি ব্যথা কমতেও সাহায্য করে। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতর স্থানটি মুছে নিন। তারপর স্টেরাইল ড্রেসিং বা ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন।

২। নারিকেল তেল

খুবই কার্যকরীভাবে ক্ষত নিরাময় করতে পারে নারিকেল তেল। কারণ নারিকেল তেলে ব্যাকটেরিয়ানাশক, প্রদাহনাশক, ময়েশ্চারাইজিং ও হিলিং উপাদান সমৃদ্ধ। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও নারিকেল তেল সংক্রমণ ও দাগ প্রতিরোধ করে। আঘাতের স্থানটিতে এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল লাগান। এর উপর ব্যান্ডেজ লাগান। দিনে ২-৩ বার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করে নারিকেল তেল লাগান।

৩। নিম

নিমে উচ্চমাত্রার এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা কোলাজেন তৈরি করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। ১ টেবিলচামচ নিম পাতার রসের সাথে ১ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ক্ষতের মধ্যে এই পেস্ট লাগান। কয়েকঘন্টা পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন।

৪। হলুদ

হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিবায়োটিক এজেন্ট যা ছোটখাট ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। মলেকিউলার ও সেলুলার বায়োক্যামিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, হলুদের কারকিউমিন ক্ষত নিরাময়ে উন্নতি ঘটায় কোলাজেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এবং প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন কমায়। যদি ক্ষত থেকে রক্ত পরে তাহলে ক্ষততে সরাসরি হলুদ গুঁড়া দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

৫। মধু

ক্ষত নিরাময়ে মধু চমৎকার ভাবে কাজ করে। এন্টিবায়োটিকের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী মধু। ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে যে, অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া কোষ ধ্বংস করতে পারে মধু এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কাঁচা মধু ব্যবহার করতে হবে। মধু যখন ক্ষতের রক্ত ও টিস্যুর সাথে মিশে তখন গ্লুকোজ ও অক্সিডেজ এনজাইমের প্রতিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন পারক্সাইড উৎপন্ন হয়। এটি আস্তে আস্তে মুক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক কাজ শুরু করে এবং টিস্যুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আঘাতের স্থানে মধু লাগিয়ে ড্রেসিং প্যাড দিয়ে বেঁধে দিন।

রসুন, অ্যালোভেরা, আলু, টি ট্রি ওয়েল ব্যবহার করেও ক্ষত নিরাময় করা যায়। কিন্তু মারাত্মক ধরণের ক্ষত, গভীর বা সংক্রমিত ক্ষতের চিকিৎসা জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

নাক দিয়ে কোন কারণে রক্ত পড়লে করতে হবে যে কাজগুলোঃ


নাক থেকে রক্ত পড়ছে হঠাৎ? অস্বাভাবিক কিছু নয়। রক্তচাপ,
মানসিক চাপ, হঠাৎ আঘাত ও আরো নানা কারনে রক্ত পড়তে পারে নাক
দিয়ে। কিন্তু সেটা যদি হয় হঠাৎ করে? অনেক সময় হঠাৎ কোন কারণে নাক
দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে ভয়ে অনেক ভুলভাল চিকিত্সা করে ফেলেন
অনেকেই। কিন্তু সেটা না করে ডাক্তার আসা অব্দি কিছু প্রাথমিক
চিকিত্সার মাধ্যমে ঘরে বসেই নিরাময় করা যায় এই ছোট্ট সমস্যাটির।
আসুন জেনে নিই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘরোয়া সমাধান।
১. প্রথমেই সোজা বসুন এবং মাথাকে একদম সোজা করে রাখুন। অন্যথায়
আপনার নাকের রক্ত পেছনে গিয়ে মুখের ভেতরে চলে যেতে পারে।

২. নাকের নরম ও শক্ত- মোট দুটো অংশ রয়েছে। রক্ত সাধারনত এই নরম অংশ
দিয়েই প্রবাহিত হয়। আঙ্গুলের সাহায্যে নাকের নরম অংশটি হালকা করে
চেপে বন্ধ করে রাখুন। মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।

৩. বরফের কিছু টুকরো নিন। সেগুলো নাক ও গালের ওপর বারবার বুলাতে
থাকুন। ঠান্ডায় রক্তপ্রবাহ একটু হলেও থেমে যাবে।

৪. দশ মিনিটের মতন নাকের ওপর আঙ্গুল চেপে রাখুন।

৫. সাধারনত ১০ বা ২০ মিনিট চাপে থাকলে নাকের রক্ত প্রবাহ থেমে
যায়। তাই এরপরে পরীক্ষা করে দেখুন তখনো রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে কিনা।

৬. হালকা ধরনের কিছু যেমন- ভেসলিন, আপনার নাকের ভেতরে হালকা
করে লাগিয়ে দিন।

৭. এবার ঘন্টাখানিক শুয়ে বিশ্রাম নিন।
তবে কেবল রক্ত পড়া থামালেই সবটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়না। আর
তাই পরবর্তীতে যাতে নাক দিয়ে আবার রক্ত না পড়ে সেটার জন্যেও
কিছু করণীয় রয়েছে।

১. নাক দিয়ে রক্ত পড়া থাকার পরের কিছুটা সময় মাথাকে ত্রিশ থেকে
পয়তাল্লিশ ডিগ্রীতে রাখুন।

২. হাঁচি দেবার সময় নাকের বদলে মুখকে বেশি ব্যবহার করুন। বাতাসটা
যেন নাক দিয়ে না বেরিয়ে মুখ থেকে বের হয়। সতর্ক থাকুন আপনার
নাকের ওপর যেন কোনরকম আঘাত না আসে।

৩. ধুমপান ও গরম কোন পানীয় নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঠান্ডা পানিয়
খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪. মাথাকে নীচু করা থেকে সতর্ক থাকুন। ভারী কিছু তোলার ক্ষেত্রেও
সতর্কতা অবলম্বন করুন।

৫. রক্তকে পাতলা করে দেয় এমন ঔষুধ, যেমন- অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন,
ওয়ারফারিন থেকে দূরে থাকুন।
তবে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কিংবা বেশি সময় ধরে হলে ডাক্তারের
কাছে দ্রুত চলে যান। অনেক সময় রক্তভীতি থাকলে বা দূর্বল হলে জ্ঞান
হারাবার মতন ব্যাপারও ঘটে থাকে রোগীর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে
দেরী না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাটাই উচিত।

অবিশ্বাস্য তথ্য, সকালের নাস্তা খেলে কিভাবে ওজন কমে!


অনেকেই সকালের নাস্তাকে এড়িয়ে যান। এটি একেবারেই ভুল। সকালের নাস্তা আপনার সারাদিনের খাবারকে সুষম করতে অর্থাৎ খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উপায় হলো সকালে সঠিকভাবে, সঠিক পরিমাণে, সঠিক সময়ে নাস্তা খাওয়া।
সকালের নাস্তা খেলে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন, তেমনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সকালের নাস্তা ঠিকমতো করলে শরীরের বিপাক ভালোভাবে সক্রিয় হয়। আর এভাবে খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে রাখা যায়।
সকালের নাস্তা ভালোভাবে করলে সারাদিনের অন্য খাবারগুলোর প্রতি আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যারা সকালের নাস্তা খায় না, স্বাভাবিকভাবেই তাদের ১১টা /১২টার দিকে ভারি খাবার খেতে দেখা যায়। অথবা তারা হয়তো সরাসরি দুপুরের খাবার খায়। এতে আমাদের শরীর অনেকটা সময় না খাওয়ার কারণে স্টারভেশন মুডে চুলে যায়। তখন আপনি যেই খাবারটিই খাবেন, এটি শরীর প্রয়োজনে সংরক্ষণ করে রাখবে। এতে ওজন ধীরে ধীরে বাড়বে। সুতরাং ওজন কমাতে অবশ্যই আপনি সকালের নাস্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
সকালের নাস্তা খেলে শরীরের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। এটি আপনাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।
স্কুলের কাজে পারদর্শিতা অনেক বেশি নির্ভর করে সকালের নাস্তার ওপর। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অনেকেই দেখা যায় নাস্তা না খেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারাই এই কাজটি করে তাদের স্কুলে মনোযোগ অনেক কম থাকে এবং তাদের লেখাপড়ার গুণগত মান ভালো হয় না। তাই শুধু মাত্র শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, আপনার শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে সকালের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে।
সকালের নাস্তা ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা বা ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তায় খেতে হবে অনেক বেশি। এটি সারাদিনের প্রতিটি খাবারের তুলনায় বেশি হবে। সুতরাং সকালের নাস্তা অবশ্যই ঠিক মতো খেয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন।

ত্বকের কালো দাগ দূর করার কার্যকরী উপায়


ত্বকের কালো দাগ নিয়ে আমাদের
চিন্তার
শেষ নেই। বাজারে কালো দাগ দূর করার
জন্য
আছে নানা ব্যান্ডের নানা ক্রিম।
আবার
অনেকেই কালো দাগ ঢাকার জন্য
বিভিন্ন
কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু
এইগুলো কি চিরস্থায়ী সমাধান?
অনেকের
ত্বকের কালো দাগ এত গাঢ় হয়ে যায়
অনেককেই লেজার চিকিৎসারও আশ্রয়
নিতে
হয়। কালো দাগ পড়ার সাথে সাথে যদি
কিছু
প্যাক ব্যবহার করা যায়, তবে এই দাগ
দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আসুন জেনে নিই
ত্বকের
দাগ দূর করার কিছু খুব সহজ উপায়।
ত্বকের কালো দাগ দূর
করার কার্যকরী উপায়
ত্বকের কালো দাগ দূর করার কার্যকরী
উপায়-
১। লেবুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টেবিল
চামচ মধু
লেবু রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। এটি
আপনার
মুখে ভাল করে লাগান। ১০-১৫ মিনিট
অপেক্ষা
করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে
প্রথমে
মুখ ধুয়ে ফেলুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে
মুখ
ধোন। মুখ মুছে কোন ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে
নিন।
২। চন্দনের প্যাক
যা লাগবে- চন্দনের পাউডার ২ টেবিল
চামচ,
লেবুর রস ৩ চাচামচ, গ্লিসারিন ১ চা
চামচ,
গোলাপ জল।
চন্দনের গুঁড়া, লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং
গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি
করে
নিন। মুখে ভাল করে লাগান , বিশেষ কএ
কালো দাগের ওপর লাগান। কিছু সময়
অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা
গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার
এই
প্যাক ব্যবহার করুন।
৩। পেঁয়াজের প্যাক
অনেক দিন পুরানো হয়ে যাওয়া কালো
দাগ দূর
করতে এই প্যাক ভাল কাজ করে থাকে।
পেঁয়াজ এবং আদা পেষ্ট করে নিন। এই
পেস্টটি আপনার কালো দাগের ওপর
ব্যবহার
করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এরপর
ভাল
কোন ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৪। দুধ মধুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- ৩ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, ২
টেবিল
চামচ মধু
কাঁচা দুধ এবং মধু মিশিয়ে নিন। তারপর
এটি
মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
দুধ
ত্বকের রং উজ্জ্বল করে আর মধু ত্বক
ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এই প্যাক
প্রতিদিন
ব্যবহারে কালো দাগ দূর করার
পাশাপাশি
ত্বকের উজ্জ্বলও করে থাকে।
৫। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক
অ্যালোভেরা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার
করতে
পারেন। অথবা অন্য কোনকিছুর সাথে
প্যাক
করেও ব্যবহার করতে পারেন। একটি
অ্যালোভেরা পাতা কেটে শাঁস বের
করে
নিন। শাঁসের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে
পেষ্ট তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে ভাল
করে
লাগান। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। পানি দিয়ে ধোয়ার আগে ২/ ৩
মিনিট
ম্যাসাজ করে নিন। আর দেখুন এক
নিমিষে
দাগ হয়ে গেছে গায়েব।

আজ জেনে নিন সবাই জানার মাঝে অজানা ৬টি তথ্যঃ


☞ আপনি যত বেশি ঠাণ্ডা ঘরে
ঘুমাবেন, আপনার
দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভবনা তত বেশি!!

☞ সারাদিনে একজন পুরুষের চেয়ে
একজন
মহিলা বেশি সংখ্যক বার চোখের
পাতা ফেলেন!!

☞ আপনি যদি হঠাৎ করে সিগারেট
খাওয়া ছেড়ে দেন, তবে সম্ভবনা
আছে যে,
আপনার রাতের ঘুম
একঘণ্টা করে কমে যাবে!!

☞ আপনি যখন হাসেন তখন আপনার
দেহে ক্লান্তি সৃষ্টিকারী
হরমোনগুলো কাজ
করতে পারে না!! এজন্য তখন
আপনাকে আরো বেশি সজীব এবং
সতেজ দেখায়!!

☞ একটা ৬ বছরের বাচ্চা দিনে গড়ে
প্রায় ৩০০
বারের মতো হাসে!! আর একজন
পরিপূর্ণ/প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে হাসেন গড়ে
১৫-১০০ বার!!

☞ আপনার ব্রেইন দিনের চেয়ে
রাতের বেলা কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য
বোধ করে!!
রাতের বেলা ব্রেইনের কাজ করার
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়!

স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান,যা না জানলেই নয়

1. পেটে গ্যাস হলে কয়েকটা লবঙ্গদানা, আদা কুচি বা পুদিনা পাতা ওষুধের মতো কাজে দেবে।

2. জিরা গরম তাওয়ায় সেঁকে হালকাভাবে ছেঁচে নিত প্রতিবার খাবার আগে এক গ্লাস পানিতে এটি এক চা চামচ মিশিয়ে খেলে দ্রুত গ্যাসের উপশম হয়।

3. গ্যাসের ফলে বুক জ্বালাপোড়া করলে গুড় খাবেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এটি এড়িয়ে যেতে হবে।

4. দাওয়াতে আমরা বোরহানি খেলে এর টকদই হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস দূর করে।

5. পেটের যে কোনো সমস্যা উপশমে প্রতি ৫-৬টি বাসক পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা বাসক পাতা বেটে, রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নিয়মিত খেলে এ সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর হবে।

6. প্রতিবার খাওয়ার পর বাটার মিল্কের সঙ্গে সামান্য গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে খেলে এসিডিটি দূর হয়।

Monday, April 3, 2017

না জানলে ক্ষতি . . . . . .


১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে, এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয় যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে রাখাই ভালো।

২. চা পানের পর পর পানি পান করা উচিত নয়। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়।

৩. দরজার পাশে দাড়িয়ে কান খুচাবেননা। অপরপাশ থেকে যেকারো ধাক্কা লেগে বিপদ হতে পারে৷

৪. এক টুথব্রাশ তিনমাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷ তাই প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলান।

৫. খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়৷ এটি গ্যাসের জন্য ক্ষতিকর৷

৬. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেননা। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর৷

থানকুনি পাতার গুনাগুন



জ্বর : থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।

পেটের পীড়া : অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।

গ্যাস্ট্রিক : আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি : বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

রক্ত দূষণ রোধে থানকুনি : প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়।

বাক স্ফুরনেঃ যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ধান কুনি পাতার রস গরম করে ঠান্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে অসুবিধাটা সেরে যায়।

খুসখুসে কাশিতে : ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।

আমাশয় : প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।

পেট ব্যথা : থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা ভাল হয়।

লিভারের সমস্যা : প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।

লাবণ্যতা : যদি মুখ মলিন হয়, লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।

দূষিত ক্ষত : মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুতে হবে।

মুখে ঘা : থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গারগিল করতে হবে।

আঘাত : কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

সাধারণ ক্ষত : থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।

চুল পড়া : অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

পেটের দোষ : মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

স্মরণশক্তি : মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

নাক বন্ধ : ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।

গুণে ভরপুর তেতো করল্লা।



করল্লা নামটা শুনলেই অনেকের চোখেমুখে বিরক্তির ছায়া ফুটে ওঠে। তেতো এই সবজিটিকে খুব সাবধানে এড়িয়ে চলেন অনেকে। ভুলেও মুখে তোলেন না করল্লার তরকারি। কিন্তু তারা কি জানেন এই করল্লার অসাধারণ সব স্বাস্থ্যগুণ? চলুন দেখে নিই অবহেলার এই সবজিটি আসলে আমাদের জন্য কতো উপকারী।

১) ফুসফুসের সমস্যা সমাধান
অ্যাজমা এবং সাধারণ সর্দিকাশির সমস্যা দূর করতে করল্লা সহায়ক। শুধু তাই নয়, করল্লার পাতা এবং তুলসি পাতার পেস্ট সকালে মধুর সাথে খেলে তা এসব সমস্যা কমিয়ে আনে।

২) লিভার সুস্থ রাখে
প্রতিদিন এক গ্লাস করল্লার জুস লিভারের সমস্যা দূর করে। টানা এক সপ্তাহ পান করলে সুফল পাবেন।

৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে করল্লা। করল্লা বা করল্লার পাতা সেদ্ধ করা পানি পান করুন প্রতিদিন। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী।

৪) ব্রণের সমস্যা দূর
ব্রণ, ত্বকের দাগ এবং ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে কাজে আসতে পারে করল্লা। স্ক্যাবিস, রিংওয়ার্ম এবং সোরিয়াসিসের সমস্যাতেও এটি কার্যকর।

৫) ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের জন্য করল্লা বেশ উপকারী। ইনসুলিনের মতো একটি উপাদান থাকার কারণে ব্লাড সুগার কমিয়ে আনতে সক্ষম করল্লা। আপনি যদি সুগার নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ওষুধ খান তাহলে করল্লা খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, নয়তো সুগার বেশি কমে যেতে পারে।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য
করল্লায় অনেকটা ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

৭) কিডনি এবং ব্লাডার সুস্থ রাখে
কিডনি ও ব্লাডারের সার্বিক সুস্থতার জন্য খেতে পারেন করল্লা। এছাড়া কিডনি স্টোন সমস্যাতেও কাজে আসতে পারে করল্লা।

৮) হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
বেশ কিছু দিক দিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে করল্লা। খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় করল্লা। এছাড়াও ব্লাড সুগার লেভেল কমায় বলে এর কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৯) ক্যান্সারের চিকিৎসা
ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে সাহায্য করতে পারে করল্লা। মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের গ্রোথ কমাতে করল্লার নির্যাস কাজে আসে বলে জানা গেছে গবেষণায়। এছাড়া অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের মেটাবলিজমে বাধা দেয় করল্লা।

১০) ওজন নিয়ন্ত্রণ
করল্লায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীর থেকে টক্সিক দূর করে। এটা মেটাবলিজম এবং হজমে সহায়ক, ফলে দ্রুত ওজন কমে। ১০০ গ্রাম করল্লায় মাত্র ১৭ ক্যালোরি থাকে এবং ফাইবার থাকে অনেক বেশি ফলে তা পেট ভরা রাখে।

করল্লা যদি বেশি তেতো মনে হয়, তাহলে দুইটি উপায়ে তেতো ভাব কমাতে পারেন। করল্লা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন কমপক্ষে ১০ মিনিট। এরপর ধুয়ে রান্না করুন। অথবা অল্প লবণ দেওয়া পানিতে দুই মিনিট সেদ্ধ করে নিলেও এর তেতো ভাবটা কিছুটা কমে আসবে।
বিভিন্ন ধরণের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড, ফলেট, ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি আছে এতে।আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অসুখ উপশম করতেও এটি উপকারী। এবার ভেবে দেখুন, এসব জানার পরেও কি আপনি করল্লাকে এড়িয়ে যাবেন?

চুলের যত্ন


-- নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপসগুলো পেতে শেয়ার করুন ----
শীতের এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মাথায় খুশকি বেশি হয়। মাথার তালুতে ফাংগাল ইনফেকশন, অপরিষ্কার থাকা, তৈলাক্ত তালুতে ধুলোবালি জমে যাওয়ার কারণে খুশকি হয়। খুশকি শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের হয়। খুশকির সমস্যাটি অস্বস্তিকর হলেও সচেতন হলে খুশকিমুক্ত থাকা সম্ভব।
খুশকি দূর করতে অর্ধেক পাকা কলা চটকে নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মেশান। এটি চুলের গোড়া ও মাথার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল ১ কাপ, ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
শুকনো সমপরিমাণ মেথি ও আমলকি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পেস্ট করে মাথার ত্বকে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৪-৫টি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলো ৪-৫ কাপ পানিতে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পেস্ট করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করতে বিশেষ সাহায্য করবে।
সব সময় পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করুন। অন্যের চিরুনি কখনোই ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু পরিমাণে কম ব্যবহার করে, বেশি পরিমাণ পানি ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার নিয়ে মাথার স্কাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। মাথার স্কাল্পে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
খুশকি দূর করতে শসার রস এবং আদার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে মাথায় মাখুন। মাথায় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। চুল ভেজা অবস্থায় বাইরে বেরোবেন না।

কানে ময়লা? পরিষ্কারের দরকার নেই!


অনেকের মাঝেই কান পরিষ্কারের বাতিক রয়েছে। সেফটিপিন থেকে শুরু করে পাখির পালক, হাতের কাছে যা পান তাই দিয়েই কান খোঁচানো শুরু করে দেন। অনেকে আবার রাস্তার পাশেই অনভিজ্ঞ লোকের কাছে কান পরিষ্কার করার জন্য বসে পড়েন। আর কিছু না পেলে কনিষ্ঠ আঙ্গুল তো আছেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্য কথা। আসলে কান পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজনই নেই।
সম্প্রতি একদল মার্কিন বিজ্ঞানী (American Academy of Otolaryngology) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, যারা যত্ন হচ্ছে মনে করে কানের ভেতর কাঠি কিংবা তুলো গুজে দিচ্ছেন তারাই মারাত্মক ভুল করছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, কানে যেভাবে ময়লা জমে তা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আর সেই প্রক্রিয়াতেই ময়লা কান থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। এজন্য বাড়তি কোনো উদ্যোগের দরকার নেই। বরং কান পরিষ্কার করার সময়ে অসতর্কতাবশত আঘাত লাগতে পারে৷ এমনকি কানের পর্দা ছিড়েও যেতে পারে৷ কানের কোনও অসুখের জন্য যদি কান চুলকান, তবে কটন বাড ব্যবহার করলে সেই অসুখের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্টিস হাসপাতালের ডক্টর মিনা নিহালানি বলছেন, কানের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে বরং এই অঙ্গকে অকেজো করে ফেলার ঝুঁকি থাকে। কানের ভেতরে যে সংবেদনশীল অংশ রয়েছে তা বাইরের জিনিস প্রবেশের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ে। কানের নাজুক পর্দা তো ছিড়ে যেতে পারেই, রোগ সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কারণ ছাড়া কান পরিষ্কারের কোনো দরকার নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমেই কান পরিষ্কার হয়৷ যারা নিয়মিতভাবে কান পরিষ্কার করে থাকেন, তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন।
কর্ণ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সব্যসাচী সাক্সেনা তাই বলছেন, এরপরও যদি মনে হয় কানে সত্যি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তবে একটাই পরামর্শ থাকবে। আর তা হল, ডাক্তারের কাছে যান।

হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?


হজমে গণ্ডগোল, কী করবেন?খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেট ব্যথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব কারণে হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয়-

১. খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।

২. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার ও ফাস্টফুড খাওয়ার কারণেও হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা সহজে হজম হতে চায় না।

৩. চিনিজাতীয় পানীয় খুব বেশি পরিমাণে পান করলে হজমে গ-গোল হয়। অতিরিক্ত কোল্ডড্রিংক পান করাও অনুচিত।

হজমের সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায়-

১. এক টুকরা আদা পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন দিনে দুইবার। দূর হবে হজমের সমস্যা।

২. রাতে ঘুমানোর আগে ইসুবগুলের ভুষি কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে পান করুন। খাবার হজম হবে দ্রুত।

৩. হলুদ পানিতে মিশিয়ে পান করুন দিনে একবার।
৪. প্রতিদিন সকালে ২ চা চামচ অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হজমের সমস্যার সমাধান হবে দ্রুত।

৫. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

৬. নিয়মিত দই খেলে দূরে থাকতে পারবেন অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা থেকে।

৭. প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ওটমিল খান। দূর হবে হজমের গ-গোল।


খালি পেটে আদা কি ক্ষতিকর?


সাধারণত পেটের পীড়ায় আদা অনেক উপকারী। কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে। এছাড়া সাধারণ ঠান্ডা জ্বরের মোকাবিলায় আদা মহৌষধের মতো উপকারী। ঠান্ডার জন্য দায়ী রাইনোভাইরাসকে এটা মেরে দেয়। এছাড়া পেটে গোলমাল বা ব্যথার উপশমেও কাজে দেয় আদা। তবে এটা খালি পেটে ক্ষতিকর হতে পারে।
আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের স্বাস্থ পাতার পরামর্শক ড. ম্যান্নি আদা নিয়ে বলেন, ‘আদা আমাদের পাকস্থলীতে পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় যা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু খালি পেটে আদা খেলে এটা গ্যাস্ট্রিক বা হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’
তাই খালি পেটে আদা খাওয়া থেকে সাবধান! তবে খাওয়া দাওয়ার পর বা হালকা নাস্তার পর আদার জুস বা আদা চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

Friday, March 31, 2017

যে ৩টি খাবার আপনার লিভারকে সুস্থ রাখবে


লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির লিভারের ওজন ৩ পাউন্ড। দেহের এই লিভার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত। যেমন- হজম শক্তি, মেটবলিজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেহে পুষ্টি যোগানো ইত্যাদি। সুস্থ লিভার দেহের রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে, রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়, দেহের সকল অংশে পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও লিভার ভিটামিন, আয়রন এবং সাধারণ সুগার গ্লুকোজ সংরক্ষন করে।
যেহেতু লিভার আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই যে কোন উপায়ে একে সুস্থ সবল রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন দেহের লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, দীর্ঘ সময় ক্লান্তি অনুভব করা, হজমের সমস্যা, এলার্জি ইত্যাদি এই সমস্ত অসুখ দেখা দিতে পারে অসুস্থ লিভারের কারণে। তাই দেহ ও লিভার সুস্থ রাখার জন্য চিনে নিন এমন কিছু খাবার যা সুস্থ রাখবে আপনাকে।
রসুন
লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য উত্তম খাবার হল রসুন। রসুনের এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে। এতে আছে আছে আরও দুটি উপাদান যার নাম এলিসিন এবং সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কার রাখে এবং ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান হতে রক্ষা করে।
১। প্রতিদিন যে কোন সময় ২/৩ টি রসুনের কোয়া খেয়ে নিন।
২। আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রসুন দিয়ে তৈরি ভিটামিনও খেতে পারেন।
লেবু
লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ডি লিমনেন উপাদান লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। তাছাড়া লেবুর ভিটামিন সি লিভারে বেশি করে এনজাইম তৈরি করে যা হজম শক্তির জন্য উপযোগী। লেবুর মিনারেল লিভারের নানান পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার শক্তি বৃদ্ধি করে। বাসায় লেবুপানি পান করুন এবং যেকোন সময় পানের জন্য লেবুপানি বানিয়ে রাখুন। প্রতিদিন লেবুপানি পান করুন, চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আপেল
প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে তা লিভারকে সুস্থ রাখে। আপেলের পেক্টিন, ফাইবার দেহের পরিপাক নালী হতে টক্সিন ও রক্ত হতে কোলেস্টরোল দূর করে এবং সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে। আপেলে আছে আরও কিছু উপাদান- ম্যালিক এসিড যা প্রাকৃতিক ভাবেই রক্ত হতে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। যেকোন ধরণের আপেলই দেহের লিভারের জন্য ভালো। তাই লিভার সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খান।

দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়


মানুষের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ গুলির মধ্যে ঝকঝকে সাদা দাঁত অন্যতম। আর সুন্দর দাঁত মানেই আত্মবিশ্বাস। সামান্য একটু মুক্তা ঝরা হাসিতে যেমন কারও মন কেড়ে নেয়া নিমিষে, তেমনি হলদে দাঁতের হাসি বিরূপ ধারণা তৈরি করে এক মূহূর্তেই। তাই একটু আলাদা করেই যেন নিতে হয় দাঁতের যত্ন।

তবে ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে–এই ধারণাটা ঠিক নয়। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে আপনি নিজেই আপনার দাঁতকে করতে পারেন মুক্তার মত সুন্দর আর উজ্জ্বল। তাই এখনই জেনে নিন দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

১. লেবুর ব্যবহার : প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করার পর পরিষ্কার দাতেঁ এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন । এভাবে ৫/৬ মিনিট ধরে ঘষতে থাকলে ৭ দিনের মধ্যে উত্তম রেজাল্ট পাবেন। এতে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে ।

২. লবনের ব্যবহার: আপনি প্রতি রাতে যখন দাঁত ব্রাশ করেন। এরপর লেবুর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর ব্যবহার শেষ করে হাতে লবন নিন। লবন আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ৫/৭ মিনিট ঘষুন তারপর কুলি করে ফেলুন। এভাবে এটিও ৭ দিন নিয়মিত করেন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুদ। এখন অনেক টুথপেস্টেও লবনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

৩. কলার খোসার ব্যবহার : কলা খাওয়ার পর খোসাটি না ফেলে সেটি একাকী দাতেঁ ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুটি কলা খান এবং খোসাটি ঘসুন ৫ মিনিট ধরে । ৭ দিন হওয়ার আগেই এর ফলাফল পাবেন। ঝকঝকে সাদা দাঁত। এছাড়া কলার খোসা দিয়ে আপনার রুপ চর্চাও করতে পারেন।

৪. বেকিং সোডা : বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

৫. কমলার খোসা কিংবা কলার খোসা : কমলা এবং কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম যা দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। এই ফলগুলো খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।

৬. আপেল, গাজর এবং দুধ : ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে খাবার তালিকায় নিয়মিত গাজর, আপেল এবং দুধ রাখতে হবে। এই খাবারগুলো দাঁতের এনামেলকে ঠিক রাখে।

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : আঙ্গুলের ডগায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে কিছুক্ষণ দাঁতে ঘষে নিন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে দাঁতের হলদে ভাব কমে যাবে।

৮. সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা : আমরা বেশির ভাগ মানুষই সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করি না। চিকিৎসকদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। দাঁত ব্রাশের সময়ে অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে মাড়ি এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। এছাড়াও নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার


বর্তমানে চুল পড়া সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। যাদের চুল পড়ার মাত্রা বেশি তাদের অনেক ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায়। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। জেনে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার।

পেঁয়াজের রস ও মধু:
খুশকি এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং মধু নিন। মাথায় হাল্কা মালিশ করে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস ও আমন্ড অয়েল:
আমন্ড তেল রুক্ষ চুলের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশালে চুল পড়া বন্ধ করতেও এটি সাহায্য করে। এক্ষেত্রেও এই দুইটি সমপরিমাণে নিয়ে মাথায় লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রাখার পর হাল্কা গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল:
চুলের চর্চার ক্ষেত্রে নারকেল তেল বহুকাল ধরে ব্যবহূত হয়ে আসছে।   এটি চুল পড়া বন্ধেরও সাহায্য করে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ  রস মেশালে কার্যকারিতা আরো বেশি বেড়ে যায়। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ করবে।

পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল:
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল হল পারফেক্ট কম্বিনেশন। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই মিশ্রণটি হাল্কা গরম করে চুলে লাগান। এক-দেড় ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও গরম পানি:
এক মগ গরম পানিতে পাঁচটি পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটির দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর পাঁচ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এক মাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। 

মাথা ব্যথা দূর করার ১০টি কৌশলঃ


অতিরিক্ত কাজের চাপ ও টেনশন, পুষ্টির অভাব এবং কম ঘুমের কারণে সাধারণত মাথাব্যথা হয়। মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমরা প্যারাসিটামল কিংবা ব্যথানাশক
ওষুধ খেয়ে থাকি। এসব উপায় সাময়িক মুক্তি দেয়, কিন্তু কিছু অভ্যাস রপ্ত করে নিলে
আপনি মাথাব্যথা থেকে একেবারে মুক্তি পেতে পারেন।
১) প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান। পর্যাপ্তপরিমাণে ঘুমান।

২) হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল ভাল হবে, ফলে মাথাব্যথা দূর হবে।

৩) চিন্তা মুক্ত থাকুন।

৪) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

৫) কফি কিংবা চা পান করতে পারেন। চা ও কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন মাথা ব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

৬) লবঙ্গ গুঁড়ো করে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ঘ্রাণ নিন। এতে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৭) হালকা গরম জলে হাত- পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
ফলে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৮) একটানা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখকে বিশ্রাম দিন।

৯) মাথা, কপাল ও ঘাড় ভালমতো ম্যাসাজ করুন। এতেও মাথাব্যথা দূর হবে।

১০) কাঙ্ক্ষিত অনাকাঙ্ক্ষিত সব পরিস্থিতি থেকে আনন্দ খুঁজে নিন, প্রাণ খুলে হাসুন।

[][] উপরের কৌশল গুলো মেনে চললেই খুব সহজেই মাথা ব্যথা দূর করতে পারবেন।

আজ জেনে নিন সবাই জানার মাঝে অজানা ৬টি তথ্যঃ


☞ আপনি যত বেশি ঠাণ্ডা ঘরে
ঘুমাবেন, আপনার
দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভবনা তত বেশি!!

☞ সারাদিনে একজন পুরুষের চেয়ে
একজন
মহিলা বেশি সংখ্যক বার চোখের
পাতা ফেলেন!!

☞ আপনি যদি হঠাৎ করে সিগারেট
খাওয়া ছেড়ে দেন, তবে সম্ভবনা
আছে যে,
আপনার রাতের ঘুম
একঘণ্টা করে কমে যাবে!!

☞ আপনি যখন হাসেন তখন আপনার
দেহে ক্লান্তি সৃষ্টিকারী
হরমোনগুলো কাজ
করতে পারে না!! এজন্য তখন
আপনাকে আরো বেশি সজীব এবং
সতেজ
দেখায়!!

☞ একটা ৬ বছরের বাচ্চা দিনে গড়ে
প্রায় ৩০০
বারের মতো হাসে!! আর একজন
পরিপূর্ণ/
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে হাসেন গড়ে
১৫-১০০
বার!!

☞ আপনার ব্রেইন দিনের চেয়ে
রাতের
বেলা কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য
বোধ করে!!
রাতের বেলা ব্রেইনের কাজ করার
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়!